নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বন্ধু অর্পিতার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ২১ কোটি টাকা। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। একের পর এক উঠে আসছে বিভিন্ন সম্পত্তি ও দুর্নীতির হদিশ। শান্তিনিকেতন সহ হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুরে মিলেছে একাধিক সম্পত্তি যেমন বাগানবাড়ি ও আবাসনের হদিস। এবার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে পার্থের সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক মানুষের নাম। যেমন, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেহরক্ষী ছিলেন বিশ্বম্ভর মন্ডল। পূর্ব মেদিনীপুরে বাড়ি হলেও তিনি সপরিবারে হাওড়ার ব্রজনাথ লাহিড়ী লেনে ৩১/১ ঠিকানায় বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। যেই ফ্ল্যাটের চাকচিক্যও দেখার মতো। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পর নাম জড়িয়েছে বিশ্বম্ভর বাবুরও। তার স্ত্রী ক্যামেরার সামনে না এলেও জানালেন সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে তার স্বামীকে।
{link}
এই প্রসঙ্গে বাড়ির পরিচারিকা জানান তিনি বিশেষ কিছুই জানেননা। তবে বিশ্বম্ভর বাবুর স্ত্রী রিনা দেবী স্কুলে চাকরি করেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তার সাথে সাথে উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাননি বিশ্বম্ভর বাবুর স্ত্রী। তবে স্থানীয় সূত্রে আরও খবর, স্ত্রী রীনা ও দুই ভাই, শ্যালক শালিকা,মাসতুতো ভাই মেসো মশাই সহ মোট ১০ জনের চাকরি করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এখন প্রশ্ন হল সকল চাকরি কি সত্যিই সৎভাবে পদ্ধতি মেনে প্রাপ্ত চাকরি? নাকি এর পিছনেও রয়েছে দুর্নীতির কালো ছায়া। যদিও স্থানীয় একটা অংশের মানুষের মতে যেভাবে বিশ্বম্ভর বাবুর উত্থান সবাই দেখেছেন, তা অনেকটা অবিশ্বাস্য ও চমকপ্রদ গল্পের মতোই।
{ads}