একদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যদিকে কেরল। দেশের দুই রাজ্যে দুরকম ছবি সিপিএমের। একদিকে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরেছে তারা আর অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে তারা পৌঁছেছে শূন্যে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ায় এ রাজ্যে শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একথা জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ ভারতের নেতারা। কংগ্রেসের সঙ্গে কেন জোট করা হল, সে প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না গড়াতেই যে কেরলে ভালো ফল হয়েছে, এদিন তাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁরা।
একুশের ভোটে সিপিএমের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিলেন বামেরা। ওই জোটে শামিল হয়েছিলেন হুগলির ফুরফুরার আব্বাস সিদ্দিকির নয়া দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, সংক্ষেপে আইএসএফ। ওই ভোটে রাজ্যে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় বামেরা। তার পরেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। একমাত্র একটি আসন পায় জোট, যা জয়লাভ করে আইএসএফ।
{link}
সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যের নেতারা। কেরলের দৃষ্টান্তের উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কারণে পশ্চিমবঙ্গে শূন্য হয়ে গিয়েছে বামেরা। অথচ কেরলে কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে লড়াই করেও ফের ক্ষমতায় এসেছে বামেরা। তামিলনাড়ুর প্রসঙ্গের উল্লেখ করে তাঁরা দেখান, লোকসভা নির্বাচনের পর বিধানসভা নির্বাচনেও ফল ভালো হয়েছে লালপার্টির।
সূত্রের খবর, এদিন দক্ষিণের ওই নেতারা বঙ্গ সিপিএমকে কটাক্ষ করে বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যা কোনও কাজেই এল না। উল্টে আসন সংখ্যা শূন্য হয়ে গেল। জোট প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, বৃহত্তর বাম ঐক্যের ডাক দিয়ে সবাইকে একজোট করে ভোটে লড়াই করা উচিত ছিল। বঙ্গ সিপিএম নেতারা কংগ্রেসের প্রতি দুর্বলতা দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। নাম না করে এদিন কটাক্ষ করা হয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও। মোদি-দিদিকে এক করে প্রচার করাটাও জনগণ ভালোভাবে নেননি বলে মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
{link}
সবচেয়ে বড় কথা হল, একুশে যা হওয়ার হয়ে গেছে। ভোটের ক্ষেত্রে তারা হারিয়ে গেলেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো ও কাজ করা থেকে বিরত হয়নি তারা। কোভিড যুদ্ধে একাধিক রেড ভলেন্টিয়ারের লড়াইয়ের কথা উঠে এসেছে সামনে। প্রশ্ন হল, কমরেডদের আবার ফেরার বিশ্বাস তো রয়েছে, আদৌ সেই ফেরার লড়াই সম্পূর্ন হবে তো?
{ads}