বাঘে গরুতে কি তবে এক ঘাটে জল খাবে এবার? এই প্রশ্নই বাংলার রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গেই কার্যত জল ঢাললেন সিপিআইএম-এর এক শীর্ষ নেতৃত্ব। এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্নই নেই, সাফ জানালেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, এ রাজ্যে তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন সিপিএম কর্মীরা। তাই তৃণমূলকে সমর্থন করার কোনও অবকাশ নেই।
তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদে ফিরেই বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করতে কোমর কষে নামেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো একুশে জুলাই শহিদ দিবসে বিজেপির বিকল্প গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারও ঢের আগে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে দৌত্য করেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। পাওয়ারের সঙ্গে দিল্লির শাসক এবং বিরোধী সবারই মধুর সম্পর্ক। তাই পাওয়ারকে সামনে রেখে তৃতীয় ফ্রন্টের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।
{link}
ওই জোটে শামিল হওয়ার কথা বামেদেরও। শুক্রবারই ইয়েচুরি বলেন, সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে অবিজেপি কোনও মঞ্চে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। রাজ্যের ক্ষেত্রে যেহেতু সিপিএম কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের হাতে, তাই এ রাজ্যে সেরকম কোনও সম্ভাবনা এখনই নেই। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানেই যে তৃণমূলকে সমর্থন করা নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইয়েচুরি। বাম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেন, ত্রিপুরায় তৃণমূল থেকে সবাই বিজেপিতে গিয়েছিল, আমরা বিজেপির বিরুদ্ধেই আছি। আমরা মার খাচ্ছি। তবে নির্বাচন এখনও বাকি আছে। বিজেপি হারানোই আমাদের পার্টির মূল লক্ষ্য।
এতোএব একথা স্পষ্ট যে রাজ্যের বাইরে জোটের একটা সম্ভাবনা থাকলেও রাজ্যে ঘাসফুলের সাথে হাত মেলানোর ক্ষেত্রে একেবারে না-ই বলছেন সিপিআইএম-এর এই শীর্ষ নেতৃত্ব। এখন দুই দলেরই এক এবং একমাত্র লক্ষ্য বিজেপি বিতাড়ন হলেও রাজ্যে শাসক শিবিরের সাথে জোট করতে নারাজ লাল-ব্রিগেড।
{ads}