বছর দুয়েক আগে ২০১৯ সালে মতানৈক্য হওয়ায় বিজেপি ছেড়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেসে। এখনও তিনি রয়েছেন হাতের ছত্রছায়াতেই। তবে ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চে আসতে পারে বড়ো চমক। বঙ্গ তথা ভারতবর্ষের রাজনীতিতে চমক লাগিয়ে তিনি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। তিনি কে? তিনি অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূলেরই একটি শিবির সূত্রে এ খবর মিলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। দলে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে বড়সড় কোনও দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে ঘাসফুলেরর শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে।
{link}
বিহারের পাটনা সাহিব থেকে দুবার বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হন শত্রুঘ্ন। ২০১৯ সালে যোগ দেন কংগ্রেসে। কিন্তু হাত চিহ্ন দাঁড়িয়ে হেরে যান। দিন কয়েক আগে তাঁর একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের ইঙ্গিত মিলেছিল। তার পর থেকে জল্পনা ছড়িয়েছিল, তবে কি বিহারিবাবু ফিরছেন তাঁর পুরানো দল বিজেপিতেই? যদিও শত্রুঘ্নের ঘনিষ্ট মহলের লোকজন জল ঢেলে দেন এই জল্পনায়।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, বিহারিবাবু যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। এর প্রধান কারণ, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন খুবই ভালো। শত্রুঘ্নের মুখে মমতাস্তুতি শোনা যায় আকছার। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি বাংলার সত্যিকারের বাঘিনী বলেও উল্লেখ করেছেন। তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিহারিবাবুর কথাবার্তাও এগিয়ে গিয়েছে অনেক দূর। যদিও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি। শত্রুঘ্ন শুধুই বলেন, রাজনীতিতে সবই সম্ভাবনাময়।
{link}
ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২১শে জুলাই শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল সভায় বিহারিবাবু হাতে তুলে নেবেন ঘাসফুল আঁকা পতাকা। তাঁকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। তৃণমূলের হাতে রাজ্যসভার দুটি আসন রয়েছে। তার একটিতে শত্রুঘ্নকে পাঠাতে পারেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য বিষয় বিধানসভা ভোটের পূর্বে কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে যশোবন্ত সিনহা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই এক পদক্ষেপে সারা ভারতবর্ষের রাজনৈতিক মহলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আসার জল্পনা শুরু হয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার। রাজ্যে বর্তমানে তৃণমূলের ভীত কোন বটগাছে গুঁড়ির মতোই শক্ত। এবং এর পাশাপাশি নিজেদের কেন্দ্রীয় লড়াইয়ের ভীতও যে মুখ্যমন্ত্রী শক্ত করতে চাইছেন তা স্পষ্ট। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় রাজনীতির এই সমস্ত বড়ো বড়ো নাম তৃণমূলের পক্ষে জোরালো হওয়া তুলবে বলেই অনুমান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে কি একুশের পর চব্বিশেও পদ্মের স্বপ্ন ভঙ্গ করার পথে এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির?
{ads}