নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আর রাজ্যের হাসপাতাল বিশেষ করে এসএসকেএম-এর উপর ভরসা নেই ইডির। এসএসকেএমের চিকিৎসা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় ইডি-র হাতে গ্রেপ্তার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরের এইমসে ভরতি করা হয়েছে। রবিবার রাতে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। আদালতের নির্দেশমতোই সোমবার সকালেই তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরিই এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামার পরই সাংবাদিকদের সম্মুখীন হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, ”কেমন আছেন?” তাঁর মুখে কোনও কথা ছিল না। শুধু বুকে হাত দিয়ে ইশারায় বুঝিয়েছেন, ভাল নেই, বুকে ব্যথা রয়েছে।
{link}
আজ দুপুর তিনটের মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ করা হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। তারপরেই ফের শুরু হবে মামলার শুনানি, সেখানেই স্পষ্ট হবে কি হতে চলেছে পার্থর ভবিষ্যৎ। তবি এখন যে তিনি রীতিমতো ফেঁসে গিয়েছেন সেই কথা স্পষ্ট। যদিও পার্থকে এইভাবে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা প্রদান করায় রীতিমতো ক্রুদ্ধ হয়েছেন এইমসে চিকিৎসা করতে যাওয়া রোগীর আত্মীয়রা। তার প্রশ্ন তোলেন, ”হাইপ্রোফাইল মন্ত্রীকে উড়িয়ে এনে এইমসে চিকিৎসা করানোর জন্য আমজনতাকে কেন বঞ্চিত করা হবে?” বাংলার নানা জেলা থেকে ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসা করাতে যান রোগীরা। ভোর থেকে লাইন দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা পান। কিন্তু রাতারাতি বাংলার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে ভরতি হওয়ার কারণে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাঁদের অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। সেই নিয়েই রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু হয় হাসপাতাল চত্বরে।
{link}
হার্টের সমস্যা, হাঁটুর ব্যাথা, থাইরয়েড ইত্যাদি একাধিক শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে পার্থর বলে সূত্রের খবর। এইমসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসায় চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এক চিকিৎসক সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। নতুন করে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। বিকেল তিনটের মধ্যে সেসব রিপোর্ট পাওয়ার কথা। তারপর ভারচুয়ালি সেই রিপোর্ট পেশ করা হবে কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে। এখন সেই রিপোর্টে কি তথ্য উঠে আসে এবং সবশেষে সেই অনুযাই পার্থর আগামী ভবিষ্যতের চাকা কোন দিকে মোড় নেয় তাই দেখার বিষয়।
{ads}