নিজস্ব সংবাদদাতাঃ এসএসকেএম কলকাতার মানুষের কাছে অন্যতম নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মানুষ চিকিৎসার জন্য চোখ বুজে বিশ্বাস করে এই হাসপাতাল কে। পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাবাসীর কাছে গর্বের আর এক নাম এই হাসপাতাল। কিন্তু সেই হাসপাতালের গায়েই কি এবার কলঙ্কের দাগ? ধাক্কা খেল এতোদিনের স্বচ্ছ ভাবমূর্তী। সমাজের একটা বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে এর উত্তর, ‘হ্যাঁ’।
{link}
এসএসকেএম উডবার্ন ওয়ার্ড, বেশ কিছু সময় যাবৎ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে হাসপাতালের এই অংশের নাম। কারন সিবিআই বা ইডির কোন তদন্তের কোন পদক্ষেপ হলেই রাজ্য সরকারের অভিযুক্ত নেতাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছিল এই এসএসকেএম। অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র একাধিক নেতার নাম রয়েছে এই তালিকায়। যদিও তখনও মানুষ বিষয়টিকে ঠিক এহেন ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখেনি। সকলেই ভেবেছিলেন হয়ত সত্যিই অসুস্থ ছিলেন তারা। কিন্তু ছন্দপতন ঘটে সংবাদমাধ্যমে। এক সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পরে এসএসকেএম-এর ভিতর তাদের অবলীলায় হাঁটা চলা করার ছবি। এই দৃশ্য চোখ টানে সিবিআই, ইডি ও আদালতেরও। প্রশ্ন ওঠে কেন বারংবার এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেই নেতা মন্ত্রীরা গিয়ে এসএসকেএম-এ আশ্রয় গ্রহন করেন?
{link}
ব্যাতিক্রম হয়নি পার্থর ক্ষেত্রেও, ইডির লাগাতার জেরার পরেই শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিনি গিয়ে ঢোকেন এসএসকেএম-এ। এবার আর সেই সুযোগ তাকে কাজে লাগাতে দেননি ইডির আইনজীবী। গতকাল রাতেই আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে। সেই নির্দেশানুযাই আজ পার্থ কে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বর এইমস-এ। ভুবনেশ্বর এইমসের মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টে জানানো হয় একাধিক ক্রনিক সমস্যা থাকলেও কোন গুরুতর অসুস্থতা নেই। পরিস্কার হয়ে যায় সম্পূর্ন ছবি, ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিজেদের সুবিধার্থে সিবিআই বা ইডির হাত থেকে বাঁচতে এসএসকেএম-এর ব্যাবহার করতেন রাজনৈতিক শক্তিশালী নেতৃত্বেরা? স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও চলছিল দুর্নীতি? প্রশ্নের জবাব দেবে কে?
{ads}