বাংলার বুকে এখন রাজনীতি মানেই হয়ে উঠেছে দলবদলের রাজনীতি। এখাধিক দলবদলের কারনে বর্তমানে এহেন বড়ো কিংবা সেইভাবে বৃহৎ নন এহেন কোনও রাজনীতিবিদের দলবদলও রাজ্যবাসীর কাছে হয় উঠেছে নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার। এর মাঝেই এখন রাজনৈতিক মহলের শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও সুরজিৎ সাহার বাগযুদ্ধের লড়াই। সেইখান থেকেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আবারও এক দলবদলের প্রসঙ্গ।
{link}
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় বহিষ্কৃত হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা।আর বহিস্কার হবার পর তিনি কি তৃণমুল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন।এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। সুরজিৎ সাহা এবিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে না চাইলেও পরোক্ষভাবে তৃণমূলে যোগ দেবার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। তিনি জানান ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে ভাবা যাবে। অর্থাৎ তৃণমূলে যোগ নিয়ে পরে ভাবনা চিন্তা করবেন প্রয়োজন হলে। তৃণমূল নেতৃত্ব এবিষয়ে কিছু বলতে রাজী হয়নি। আসন্ন পুর নির্বাচনে জন্য হাওড়া বিজেপির বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। তিনি জানান সুরজিৎ সাহা ছাড়াই বিজেপি পুর নির্বাচনে ভালো ফল করবে। এবিষয়ে সুরজিৎ সাহা জানান বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি আসা নেতাদের জন্যই খারাপ ফলাফল হয়েছে। পুর নির্বাচনে একই হাল হবে। রথীন চক্রবর্তী নিজের ওয়ার্ড দখলে রাখতে পারবেনা বলে চ্যালেঞ্জ করেন সুরজিৎ সাহা। অন্যদিকে বহিস্কার হবার পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সাথে কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে জানান বহিষ্কৃত বিজেপি সভাপতি।
{link}
যদিও একদম খাঁটি আরএসএস ঘাঁটি থেকে উঠে আসা সুরজিৎ আদৌ নিজের সমস্ত নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে বিপক্ষ শিবিরে যোগ দেবেন কি না সেই নিয়ে এখনও বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। তবে এই জল যে এখনও আরও অনেকটা দূর গড়াবে তা স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত ভবিষ্যতে কোন ঘাটে গিয়ে জলপ্রবাহ থামে সেটাই দেখার অপেক্ষায় এখন রাজ্যের সমস্ত মানুষজন।
{ads}