পদ্মফুল না জোড়া ফুল, কোন ফুলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়? আপাতত শুধু এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজীবের অনুগামীদের মধ্যে। এই দোদ্যুল্যমান পরিস্থিতিতে কোন দিকে ঝুঁকবে দাঁড়িপাল্লা? এই প্রশ্নের উত্তর যে কি তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। বুঝতে পারছেন না তাঁদের অবস্থানটাই বা ঠিক কোথায়?
{link}
রাজ্যে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা ছিল রাজীব ব্যানার্জির। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারনেই মানুষের কাছে পরচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু ছবিটার পরিবর্তন ঘটে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজীব। চাটার্ড বিমানে দিল্লিতে গিয়ে হাতে তুলে নেন গেরুয়া নিশান। ডোমজুড় কেন্দ্রেই পদ্ম-প্রতীকে প্রার্থী হন তিনি। ঘাসফুল প্রতীকে যে কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাজীব, একুশের ভোটে সেখানেই গোহারা হারেন তিনি। সূত্রের খবর, এর পরেই রাজীব তৃণমূলে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে দেন। সেই মতো, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজীব তৃণমূলে ফিরছেন, খবর চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা। তাঁরা রাজীবকে ফেরানোর ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানান। রাজীবকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি আপত্তি জানান হাওড়ার তৃণমূল নেতা অরূপ রায় এবং হুগলির তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এর পরেই রাজীব বুঝে যান তৃণমূলে ফেরা আপাতত অসম্ভব। তাই রাজীব চিঠি লেখেন বিজেপি নেতৃত্বকে। একটিতে ছিল ঘরছাড়াদের তালিকা, অন্যটিতে কী ছিল তা জানা যায়নি।
{link}
রাজীবের তৃণমূলে ফেরা অসম্ভব জেনে তাঁকে দলে ধরে রাখার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবার দলের কার্যকারিণী সভায় আমন্ত্রণও জানানো হয় তাঁকে। কিন্তু আবার ভোলবদল, ওই সভায় যোগ দেননি রাজীব। স্বাভাবিকভাবেই তার এই ধন্দে তাঁর অনুগামীরা। রাজীব তৃণমূলে ফিরছেন নাকি বিজেপিতেই থাকছেন, তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। পরিস্থিতি যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডুবতে চলেছে একূল ওকূল দুকুলই। বিবেচনা করে এক তৃণমূল নেতার সরস মন্তব্য, আপাতত জল মাপছেন রাজীব! জল মাপতে মাপতে আবার জলেই ডুবে যাবেন না তো ?
{ads}