সামনেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন, সেই নির্বাচনের দিন বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে শুরু করেছে নির্বাচনী উত্তাপ। এবার তৃণমূলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। সোমবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। তারপরেই শুরু হয়েছে অভিযোগের পালা। উঠেছে ‘সেটিংতত্ত্ব’-ও। তৃণমূলের কাছে রাজ্য বিজেপি নেতারা বিকিয়ে গিয়েছেন বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসের।
ফেসবুক পোস্টে গৌরব লেখেন, তৃণমূলের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে টিকিট বিক্রি করেছেন তুষার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, মন্ত্রীর ছেলেকে জেতানোর জন্যই এসব করা হয়েছে। এটা সবাই জানে। দিনের আলোয় এ সব হয় না। খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ীকে এবার প্রার্থী করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে গৌরব বলেন, রাজর্ষি চেনা মুখ নন। এখানে চেনা মুখ ভীষন জরুরি। আসলে সবই পরিকল্পনার অঙ্গ। এটা পুরোটাই বিজেপিকে তৃণমূলের হাতে তুলে দেওয়ার একটা চক্রান্ত। আমার সঙ্গে রাজর্ষির কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে দলটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে!
{link}
২রা মে ফল বেরিয়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের। তারপরেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় তো বটেই দলের বহু নেতাকর্মীও সোশ্যাল মিডিয়ায় উগরে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশদের ‘তৃণমূলের সেটিংমাস্টার’ বলেছিলেন কর্মীরা। কলকাতা পুরসভার ভোটও উঠে এল সেই ‘সেটিতত্ত্ব’। গৌরবের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতৃত্ব কোন পদক্ষেপ করেন কিনা, সেটাই দেখার। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে তথাগত রায় ঠিক যেভাবে দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন, সেহেন বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন রাজ্যের অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বেরাও। যে কারনেই এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠে আসছে তবে কি তথাগত-র করা বিস্ফোরনেরও কি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্যতা বর্তমান?
{ads}