সুদেষ্ণা মন্ডল, কুলতলী : এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিন ২৪ পরগনার কুলতলীতে। ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলী থানার অন্তর্গত কুচিয়ামারা গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম অর্চনা হালদার (২২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিগত প্রায় সাত বছর আগে বারুইপুর থানার অন্তর্গত ঘোলা দোলতলা গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা, তার বিয়ে হয় কুচিয়ামারা গ্রামে বাসিন্দা পলাশ হালদার এর সাথে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই যৌতুক এবং টাকা-পয়সার জন্য চাপ দিতে থাকতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধূ প্রতিনিয়ত বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে স্বামী-শ্বশুরের হাতে তুলে দিতো। অভিযোগ গত প্রায় ১২ দিন আগে ওই গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী শ্বশুর বাড়ি লোকজন। সেইসময় ঘটনা সমস্যা মিটে গেলও বুধবার রাতে ওই গৃহবধূকে স্বামী-শাশুড়ি মিলে বেধড়ক মারধর করে। পরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
{link}
ঘটনায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধের সরাসরি অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ির লোকজন। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি কি কারনে ওই গৃহবধূ মৃত্যু হল সে বিষয়ে তদন্ত করতে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি কে আটক করেছে পুলিশ। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কি তথ্য উঠে আসে তাই দেখার বিষয়।
{ads}