একুশের বিধানসভা ভোটের আগে হঠাতই রাজ্য রাজনীতিকে অবাক করে তৃণমূলের অন্যতম বিশ্বস্ত সৈনিক রাজীব ব্যানার্জি গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন পদ্মের শিবিরে। ডোমজুড়ের এই বহু পরিচিত জনপ্রিয় নেতার এই দল পরিবর্তন মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। কার্যত অবাক হয়ে গিয়েছিলেন দলীয় কর্মী সহ স্থানীয় মানুষেরা। ভালোবাসার স্থানে রাজীবকে ঘিরে মনে জমেছিল ক্ষোভ। তারপর কেটেছে অনেকটা সময়। বিধানসভা নির্বাচনে নিজের এক সমইয়ের সঙ্গির কাছেই পরাজিত হয়েছেন রাজীব। পাল্টেছে চিত্র পাল্টেছে পরিস্থিত।
{link}
ভোটের পরেই বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলের ফেরার লক্ষ্যে পা বাড়িয়েছেন বেশ কিছু নেতা মন্ত্রী। তৃণমূলএর ফিরেছেন স্বয়ং মুকুল রায়। যিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিও ছিলেন। তারপরেই রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব কুনাল ঘোষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তার দলে ফেরার প্রসঙ্গ। সেই প্রসঙ্গে এবার সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য,নির্বাচনের আগে বলেছিলাম তিরিশ হাজার ভোটে হারাবো আর তিনবছর ঘুমোতে দেবো না।এক মাস হতেই কি হাল হয়েছে।ঘুম চলে গেছে চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে।রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম না করে এভাবেই তাকে কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি আরো বলেন এখন ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যিনি বলছেন তিনি ডোমজুড়ে হিন্দুদের নিয়ে দাঙ্গা বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন।নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পুলিশকে দিয়ে যা আটকে দেন। গতকাল কুনাল ঘোষ ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাক্ষাৎ নিয়েও কটাক্ষ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন যদি সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে তাহলে এত সংবাদমাধ্যম কিকরে পৌঁছে গেল। কুনাল আর রাজীব কি শুধু বুদ্ধিমান আর আমরা কি গরু ছাগল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে এলে তাকে কি স্বাগতম জানাবেন এ প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এত কর্মী সমর্থক আছে তারা কি মেনে নেবে সেটা আগে জানা দরকার। তবে শেষ কথা যা বলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন। মাঝের লোকদের কোনো দাম নেই।
{link}
অর্থাৎ রাজীবের দলে ফেরা প্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ যে বর্তমান সেই কথা স্পষ্ট। কিন্তু এক্ষেত্রে দলের কর্মীদের কথার পাশাপাশি নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপরেও অনেকটা বিষয় নির্ভর করবে। এখন রাজীব দলে ফেরেন কি না, তার উপরেও দলে ফিরলেও কর্মীরা তাকে মেনে নেন কি না তাই দেখতে অপেক্ষা করছেন রাজ্যের মানুষ।
{ads}