অলিম্পিক শুরুর পরেই ফুটবলপ্রেমী সহ ব্রাজিল সমর্থকদের মনে প্রশ্ন উঠেছিল, ২০১৬-র পর এইবারেও কি নিজেদের দেশের জন্য সোনা জয় করতে পারবে ব্রাজিলের ফুটবল দল? প্রতিযোগীতার শেষে আজ তাই করে দেখালো দানি আলভেসের ব্রাজিল। শেষ মুহূর্তের গোলে স্পেনকে হারিয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতল জয়লাভ করল সেলেকাওরা। শনিবার অলিম্পিক ফাইনালে স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই নিয়ে পরপর দুই অলিম্পিকে সোনা জয়লাভ করল সেলেকাওরা। শেষবার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল আর্জেন্টিনা। ২০০৪ এবং ২০০৮ অলিম্পিকে পরপর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেসি ও মারাদোনার দেশ।
{link}
শনিবার ইয়োকোহামা স্টেডিয়ামে ফেভারিট হিসাবেই শুরু করেছিল ব্রাজিল। কারণ, এবারের টুর্নামেন্টে একেবারে গোড়া থেকেই দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছে তাঁরা। তবে, স্পেনও খুব বেশি পিছিয়ে ছিল না। দুরন্ত ছন্দে ছিল তারাও। সদ্য ইউরো কাপ খেলে আসা দলের বেশ কয়েকজন সদস্যও ছিলেন স্প্যানিশ দলে, ছিল পেদ্রির মতো দুরন্ত তরুন প্রতিভা। ফাইনালে প্রত্যাশামতোই দুই দলের টানটান লড়াইয়ের সাক্ষি থাকল ফুটবল বিশ্ব। শুরু থেকে সমানে সমানে লড়াই হলেও প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ডানি আলভেসের ভাসানো ক্রস থেকে গোল করেন ম্যাথিউস কুনহা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাক করে স্পেন। ম্যাচের বয়স যখন ঘণ্টাখানেক তখনই মিকেল ওইয়ারজাবালের গোলে সমতা ফেরায় ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নরা। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর কোনও গোল হয়নি। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই সময় মনে হচ্ছিল খেলা হয়ত গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু তারপরেই ঘটে ছন্দপতন, ১১৪ মিনিটে ম্যালকমের গোলে জয় নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের। শেষ কয়েক মিনিটে আর গোল করার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্পেন।
{link}
অলিম্পিক টুর্নামেন্টে ছেলেদের বিভাগে এবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন ব্রাজিলের রিচালসন। দানি আলভেসের এই বয়সেও করে যাওয়া দুরন্ত লড়াইয়ে অলিম্পিকে আরও একবার এই অনন্য ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে রইল ব্রাজিলের ফুটবল ভক্তরা।