আসন বাড়ল উচ্চ মাধ্যমিকে। প্রতিটি স্কুলে এক ধাক্কায় আসন বাড়ছে ১২৫টি করে। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়ে দেওয়া হয় স্কুলগুলিকে। মাধ্যমিক পাশ করা প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর। দিন কয়েক আগে এ বিষয়ে সংসদের তরফ থেকে আবেদন জানান হয় বিকাশ ভবনে। সেখান থেকে অনুমতি মেলার পর জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তিi
এ বছর মাধ্যমিকে শিক্ষ্যার্থীদের পাশের হার ১০০ শতাংশ । তাদের সবাইকে উচ্চ মাধ্যমিকে সুযোগ দিতেই আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি মহুয়া দাস রাজ্যের সমস্ত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে বর্তমান ২৭৫ টির বিপরীতে একাদশ শ্রেণিতে সর্বাধিক ৪০০ শিক্ষার্থী ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বৃদ্ধি শুধুমাত্র ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। যদিও বিজ্ঞপ্তী নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠছে।
{link}
এছাড়াও, ২০২১ সালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬,১৩,৮৪৯ জন ছাত্রী এবং ৪,৬৫,৮৫০ জন ছাত্র ছিল। রাজ্যে মেয়েদের স্কুলের সংখ্যা চেয়ে ছেলেদের স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি।আরও মেয়েরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে, আসন বৃদ্ধি সত্ত্বেও, রাজ্যের ছাত্রীদেরই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।আসন সংখ্যা বাড়ানো হলেও পরিকাঠামো রয়েছে কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না ঠিকই, তবে অফলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে।
একই প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির কর্তারাও। তারা অবশ্য মনে করেন যে শুধু আসন বৃদ্ধি সমস্যার সমাধান নাও করতে পারে কারণ পশ্চিমবঙ্গের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শাখা রয়েছে। তাঁদের প্রতিক্রিয়া, ভর্তির সর্বোচ্চ সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বসবে কোথায়? গত বছর থেকে কত সংখ্যক অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে? এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে পড়ানোর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগে কতজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে?
{ads}