করোনার প্রতিষেধক নিতে লাইন শতাধিক মানুষের। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে যুবক, প্রসূতি ও প্রবীনদের। রোদ,বৃষ্টিকে উপেখ্যা করেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে মিলছে ভ্যাকসিন। মাথার ওপর কোনও ছাউনি না থাকায় অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে করোনার প্রতিষেধক টীকা নিতে ক্যাম্পে আসা মানুষজনের।
{link}
ক্যাম্পে আসা অধিকাংশ মানুষের দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসন মাথার ওপর আপাতত অস্থায়ী ছাউনি করে দিক। লাইনে দাঁড়ানোর সময় হঠাৎ বৃষ্টি এলে লাইনে দাঁড়িয়েই ভিজতে হচ্ছে তাদের। মাথা বাঁচাতে এদিক ওদিক চলে গেলে লাইন ভেঙে মাঝে ঢুকে পড়ছেন অনেকেই। ফলে ছাউনির অভাবে ক্যাম্পে আশা মানুষদের একাধিক সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। কোলের শিশুকে নিয়ে শিবিরে আসা এক মহিলা বলেন," কষ্ট হচ্ছে। কোলের শিশুকে নিয়ে রোদে দাঁড়াতে পারছি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের উচিত একটা ছাউনি করে দেওয়ার।"
{link}
এখন কয়েকদিন ধরে কখনও বৃষ্টি আবার কখনও রোদ। এমনই আবহাওয়া কিছুদিন ধরে। কাঠফাটা রোদের পর হঠাৎ বৃষ্টি। এমতবস্থায় লাইনে দাঁড়ানোদের মধ্যে হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। নেই বসার জায়গাও। কিন্তু প্রতিষেধক তো নিতে হবে। লাইনে দারিয়ে থাকা এক ব্যাক্তি বলেন,”প্রশাসন ভাবলে কি আর এভাবে দাঁড়াতে হত!" প্রতিদিন হাসপাতালের সামনে প্রায় তিনশতাধিক মানুষের জমায়েত হচ্ছে।
{link}
বিষয়টি নিয়ে এদিন সমাজমাধ্যমেও সরব হয়েছেন কেশিয়াড়ির বাসিন্দা মলয়কুমার দাস। তিনি বলেন," প্রতিদিন অনেক মানুষের যেমন ভিড় হচ্ছে তেমনি প্রতিষেধক নিতে এসে তাদের অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। ভাদ্র মাসের এই রোদ-বৃষ্টি নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে মা এবং প্রবীন মানুষেরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।" তার আবেদন, প্রশাসন ছাউনি এবং বসায় জায়গা করে দিক। নইলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে রোদে দাঁড়িয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আবার নেই পানীয় জলের তেমন ব্যবস্থা। যা নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতার দিকেই আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তারিনীকুমার শীট বলেন," আমাদের পক্ষ থেকে ছাউনি করা সম্ভব নয়। দু এক দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতো নতুন পদ্ধতিতে প্রতিষেধক প্রদান চালু হলে হাসপাতালে আর ভিড় হবে না। তবে এখন দেখার বিষয় কবে মিটবে এই সমস্যা।
{ads}