একটা খেলা হয়ে গেছে, আবার একটা হবে। বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। আজ, বুধবার একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে এভাবেই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসেই তিনি যে এর প্রস্তুতি করতে দিল্লি যাচ্ছেন, তাও এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে তার বক্তৃতার মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
{link}
তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যের মসনদে ফিরার পরেই দিল্লিকেই পাখির চোখ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন, ওই নির্বাচনে বিজেপিকে দিল্লিছাড়া করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেই উদ্যোগেরই অঙ্গ হিসেবে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে তিনবার দেখা করেছেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এর মধ্যে প্রথম দুবার পাওয়ারের সঙ্গে একাই বৈঠক করেন পিকে। পরেরবার দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে হয় বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের ১৫ জন নেতা। পরে পিকে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এবং বেণুগোপালের সঙ্গে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল পিকে-পাওয়ার বৈঠকের পরেই।
সেই প্রক্রিয়াই যে জারি রয়েছে, এদিন তাও স্পষ্ট করে দেন মমতা। এবং বিজেপিকে দিল্লিছাড়া করাই যে তাঁর আশু লক্ষ্য, এদিন তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, খেলা একটা হয়েছে। আবার হবে। বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে।
{link}
কেবল পিকের ভরসায় না থেকে বিজেপি-বিরোধী নেতাদের পালস বুঝতে নিজে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। সেখানে তিনি যে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাও এদিন ঘোষণা করেছেন তিনি। আসলে মিশন দিল্লিই যে তাঁর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি, এদিন তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবং তার পাশাপাশি বিজেপির কেন্দ্রের ভীত টলাতে এখন থেকেই যে তারা ময়দানে নেমে পড়েছেন সেই কথাও স্পষ্ট। এতোদিন আড়ালে আবদালে নিজেদের বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও এবার প্রকাশ্যেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ঘোষনা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পাশাপাশি আহব্বান জানালেও দেশের বাকি সমস্ত বিরোধী শিবিরকে একত্রিত হওয়ার জন্য।
{ads}