header banner

রাজনীতিতে খোকা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা

article banner

২০২২এর পাঞ্জাব নির্বাচনের ৪ মাস আগে মুক্ষ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। দিন দুয়েক আগে আচমকাই ইস্তফা দেন তিনি। এর মধ্যে খেয়োখেয়ি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যে পঞ্চ নদীর তীরের রাজ্যটিতে ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে জাতীয় কংগ্রেস। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দলেরই নভজ্যোত সিং সিধুর। কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্বে অক্সিজেন পাচ্ছে বিজেপি।

{link} 
রাজ পরিবারের সদস্য অমরিন্দের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হয় চরণজিৎ সিং চান্নিকে। চরণজিৎকে বেছে নেওয়ার আগে মুক্ষ্যমন্ত্রী পদে বসানোর চেষ্টা হয়েছিল অম্বিকা সোনিকে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে পারবেন না ভেবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই নেত্রী সরে দাঁড়ান। যদিও দলকে তিনি জানান, বয়সের কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অপারগ তিনি। এর পরেই কপাল খোলে চরণজিতের! 

{link}
তবে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিলেও সিধুকে তিনি ছেড়ে কথা বলছেন না। তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর। সিধুকে দেশদ্রোহী এবং ভয়ঙ্কর বলেও অভিহিত করেন তিনি। অমরিন্দর বলেন, আমার সমস্ত প্রচেষ্টা দিয়ে সিধুর মতো একজন ভয়ঙ্কর মানুষের থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি এও জানান, ২০২২ সালের পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে সিধুকে হারাতে আমি এমন একজন প্রার্থীকে ময়দানে নামাব, যিনি সিধুর হার নিশ্চিত করবেন।   দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিও ক্ষোভ উগরে দিয়ে ক্যাপ্টেন বলেন, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা অনভিজ্ঞ।


ক্যাপ্টেন বনাম সিধুর এই অন্তর্দ্বন্দ্বের লড়াইয়ে ফলে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে কংগ্রেস। এমনিতেই একের পর এক প্রদেশের রাশ হাতছাড়া হচ্ছে কংগ্রেসের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে গোষ্ঠীন্দ্বন্দ্ব। যার জেরে হাতছাড়া হতে পারে পঞ্জাবও।
সিং শনিবার বলেন তার পদত্যাগের কারণ তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জানান। সেখানে তিনি বলেন তাকে না জানিয়েই পাঞ্জাব বিধায়কদের জরুরি বৈঠক ডাকে কংগ্রেস। দলের এই পদক্ষেপের জন্য অপমানিত বোধ করেছেন বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। 
{ads}

news politics BJP Congress Amrindar Singh Captain Navjot Singh Siddhu Priyanka Gandhi Rahul Gandhi Sonia Gandhi conflict West Bengal India

Last Updated :