কার্যত এখন দলের বিরুদ্ধেই বেঁকে বসেছেন অন্যতম পরিচিত মুখ। প্রকাশ্যে কথা বলছেন নির্দল প্রার্থীর হয়ে। সর্বসমক্ষে ‘বেসুরো’ গেয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দল। কিন্তু এতো কিছুর পরেও দিব্যি রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কেন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না দল? এই নিয়ে দলের অন্দরেই দানা বাঁধছে অসন্তোষ। এ ব্যাপারে অবশ্য স্পিকটি নট বিজেপি নেতৃত্ব। কেন প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে তাকে?
দলীয় লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপা। কিছুদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের। তাঁর স্বামী গৌরব ছিলেন ওই ওয়ার্ডে টিকিটের দাবিদার। তাঁকে টিকিট দেননি গেরুয়া নেতৃত্ব। শেষমেশ নির্দল হিসেবে ওই দাঁড়িয়ে পড়েন গৌরব।
{link}
গৌরবের পাশে দাঁড়ানোয় রূপাকে সতর্ক করে বিজেপি। তার পরেও গৌরবের পাশ থেকে সরেননি বিজেপি সাংসদ। খোলা চিঠিতে রূপা লিখেছেন, আমার তো আর হোর্ডিং লাগানোর মতো ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দুজনের ছবিটা দিয়ে বলতাম আমি তিস্তার সঙ্গে আছি, থাকব। শুধু গৌরবের পাশে দাঁড়ানোই নয়, দলীয় বৈঠককে ‘ভাটের’ বলেও দেগে দিয়েছিলেন তিনি। দলের নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতেই দলের ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বেরিয়েও গিয়েছিলেন রূপা। মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে কেন এসব ‘ভাটের’ বৈঠকে ডাকা হয়! তার পর এই খোলা চিঠি রূপার।
{link}
দল বিরোধী মন্তব্য করায় বহিষ্কৃত হতে হয়েছে বিজেপির হাওড়ার নেতা সুরজিৎ সাহাকে। অথচ রূপার বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় অসন্তোষ দানা বাঁধছে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, রূপা সাংসদ। যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নেওয়ায় বারবার বেসুরো গেয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন সেই মহাভারতের বিখ্যাত ‘দ্রৌপদী’-র চরিত্রাভিনেত্রী রূপা। তবে কি আরও একবার যদি দলের অন্যতম পরিচিত মহিলা নেত্রীও বাবুলের মতো বেঁকে বসেন সেও ভয় পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব?
{ads}