এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত নিরপেক্ষতার অভিযোগ করা শুরু রাজ্যের বিরোধী শিবিরের। বিজেপির দিল্লি দখল মসৃণ করতেই তড়িঘড়ি ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের! বিজেপির একটা অংশের দাবি অন্তত এমনই। তাঁদের যুক্তি, করোনা পরিস্থিতির যুক্তিতে পিছিয়ে দেওয়া যেত নির্বাচন। তা না করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকতে পারেন, সেই জন্যই তড়িঘড়ি ভোট ঘোষণা। এখানেই পক্ষপাতিত্ব দেখছে পদ্মের শিবির। সেই কারনেই এই ঘটনায় বিজেপির একটা বড় অংশ বিপুল ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তাঁদের অনেকেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলের হয়ে খাটাখাটনি না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ‘হেরে’ গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তৃণমূল নেত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ছ মাসের মধ্যে তাঁকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে জয়ী হয়ে আসতে হয়। মমতাকে ‘জায়গা’ দিতে ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দেন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে ভবানীপুর সহ রাজ্যের পাঁচ আসনে উপনির্বাচন করার কোনও উদ্যোগ দীর্ঘদিন দেখা যায়নি কমিশনে। কমিশনের দরবারে অন্তত চারবার হত্যে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পরেও ভোট ঘোষণা করতে ঢিলেমি করে কমিশন।
{link}
সম্প্রতি ৩০ সেপ্টেম্বর কেবল ভবানীপুরে ভোট ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দুই কেন্দ্রে স্থগিত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনও একই দিনে করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এতেই বিজেপি-তৃণমূল ‘গটআপ’ গেমের রূপোলি রেখা দেখতে পাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাঁদের মতে, কেবল ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করে আসলে মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার ব্যবস্থাই করে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর প্রতিদান তারা চাইবে ২৪- এর লোকসভা নির্বাচনে!
সবদিক থেকে দেখতে গেলে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমানে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতির পরিবেশ। রীতিমতো লড়াই শুরু হয়ে গেছে ভবানীপুর কেন্দ্রের লড়াই ঘিরে। সব দিকে বিচার করেই এই লড়াইয়ে অনেকটা এগিয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দিক বিবেচনা করেই এখন কোনরকম সুযোগই ছাড়তে ইচ্ছুক নয় বিজেপি।
{ads}