পুজোর আগেই আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বরই রাজ্যে ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহন ঘোষনা করলো নির্বাচন কমিশন। ভোটের ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে আশানরুপ ফল পায়নি রাজ্য বিজেপি। সেটা ধরে নিয়েই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। মোট সাতটি আসনের বেশিরভাগই যাতে গেরুয়া ঝুলিতে আসে, সেজন্য এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।
{link}
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনে নির্বাচনে সাবধানে পা ফেলতে চাইছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পদ্মফুল শিবিরে ঢুকে গিয়েছিল অনেক বেনো জল। তার একটা বড় অংশই ভোটের পরে ফিরে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দলে। তাই এবার পদক্ষেপ করা হবে সাবধানে। অন্তত গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর এমনই। এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে বিজেপির আদি কর্মীদেরই!
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কোমর কষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। সেবার ভোট হয়েছে ২৯২টি বিধানসভা আসনে। এর মধ্যে ২০০ আসনের টার্গেট করেছিলেন গেরুয়া নেতৃত্ব। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যে একুশটি জনসভা করেন। আর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহ অংশ নেন ছোটবড় মিলিয়ে মোট ১২১টি কর্মসূচিতে। তার পরেও লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র এক তৃতীয়াংশ আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বকে।
{link}
এর মধ্যে আবার মুকুল রায় সহ তিন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে ভিড়ে গিয়েছেন তৃণমূলে। আর সাংসদ হয়েও বিধানসভা ভোটে জয়ী হওয়ায় পদত্যাগ করতে হয়েছে দুটি কেন্দ্রের দুই বিধায়ককে। তাই বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা মাত্রই ৭২। উপনির্বাচনের সবকটি আসনে জিতেই এই সংখ্যাটাকে খানিকটা বাড়িয়ে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।
{link}
তবে এবার প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছেন গেরুয়া নেতৃত্ব। বিধানসভা ভোটে দলবদলুদের গুরুত্ব দিতে গিয়ে পা কেটে গিয়েছিল বিজেপির। এবার ফের যাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্যই এই সাবধানতা অবলম্বন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এবার গুরুত্ব দেওয়া হবে দলের আদি কর্মীদের। এটাই ধরে নিতে হবে আপাতত টিকিট পাচ্ছেন না দলবদলুরা।
অতীত থেকে শিক্ষ্যা নিয়ে এবার বিজেপি আদি কর্মিদেরকে নিয়েই। কর্মী এবং সমর্থকদের প্রাধান্য দিয়েই এবারে ভোটে প্রতিপক্ষ তৃণমূলের বিরুদ্ধ্যে দাঁড়াতে চাইছে বিজেপি।
{ads}