দক্ষিণবঙ্গ থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দুই বিধায়ক ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসে (টিএমসি) ফিরে আসার কয়েক দিন পর, বুধবার উত্তরবঙ্গে এক সাংগঠনিক বৈঠক করে বিজেপি। বিজেপির এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন জেলার পাঁচজন বিধায়ক। তাহলেকি দক্ষিণের পর কি এবার বিপেজির ঘর ছেড়ে তৃণমূলের দিকে যাওয়ার সঙ্কেত দিচ্ছেন এই ৫ জন?
{link}
বুধবার দিনভর এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খেল বঙ্গ রাজনীতির আকাশে। কারণ অবশ্য একটা আছে। তা হল, শিলিগুড়িতে বিজেপির বৈঠকে গরহাজির পাঁচ বিধায়ক। দিন দুয়েকের মধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গের দুই বিধায়ক। এবার দলীয় বৈঠকে উত্তরের পাঁচ বিধায়ক অনুপস্থিত থাকায় ছড়িয়েছে জল্পনা। তাহলে কি এই পাঁচজনও পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন পূর্বসূরিদের!
{link}
আজ, বুধবার শিলিগুড়িতে দলীয় বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই বৈঠকে হাজির থাকার কথা ছিল উত্তরবঙ্গের ২৯ জন বিধায়কের। তাঁদের সবাইকেই এদিনের বৈঠক সম্পর্কে অবগত করা হয়েছিল দলের তরফে। শিলিগুড়ির মাড়োয়ারি ভবনে বৈঠক হয়েছে। শুভেন্দুর পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। তবে আশ্চর্যজনকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন দলের পাঁচ বিধায়ক।
{link}
এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী। বছরের পর বছর আরএসপির দখলে থাকা এই আসনে এবার অশোককে প্রার্থী করে বিজেপি। বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। সেই তিনিও অনুপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। যদিও শুভেন্দুর এদিন বৈঠকে বলেন, দিল্লিতে থাকায় এদিন আসতে পারেননি অশোক।
বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সত্যেন রায়ও। গঙ্গারামপুরের এই বিজেপি বিধায়ক এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। এবার নির্বাচনে রাজবংশী সম্প্রদায়ের এই নেতাকে প্রার্থী করে বিজেপি। বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনিও। এহেন সত্যেনও গরহাজির ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
{link}
বৈঠকে ছিলেন না হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মুও। গরহাজিরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অসুস্থ থাকায় বৈঠকে যেতে পারিনি। মালদহের বিধায়ক গোপাল সাহাও অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুর বৈঠকে। অসুস্থতার কারণ দর্শিয়েছেন তিনিও। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও-ও অসুস্থতার কারণে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন দলকে।
একুশের নির্বাচনে বিজেপির বিপর্জয়ের পর অনেকেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে একে একে ফিরে গেছেন তৃনমুলে। তাহলে কি এই ৫ বিধায়কের অনুপস্থিতি এটাই বলছে যে তারা ঘাস্ফুলে যোগ দিচ্ছেন? নাকি তারা বিজেপিতে অসস্থি বোধ করছেন ? বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত অবশ্য এদিন বলেন তৃণমূল বিজেপির বিধায়কদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল উদ্ধেশ্য প্রণোদিত ভাবে খবর ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন বিজেপি থেকে দুতিন জন চলে গেলে দলে কোন প্রভাব পরবে না।
{ads}