header banner

বিধানসভায় যাওয়ার মুখ নেই মুকুল রায়ের, তাই এড়িয়ে যাচ্ছেন- দিলীপ ঘোষ

article banner

একুশের নির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে। তারপরেই পদ্মফুলের সান্নিধ্য ত্যাগ করে যোগদান করেন তৃণমূলে। তারপরেই তাকে করা হয় পিএসই-র চেয়ারময়ানও। যা নিয়ে ঝামেলাও কম হয়নি। এই সকল বিষয় ও ঘটনার পরেই, বিধানসভায় যাওয়ার মুখ নেই মুকুল রায়ের। তাই এড়িয়ে যাচ্ছেন। বিধানসভায় মুকুলের গরহাজিরা প্রসঙ্গে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 


 ২০১৭ সালে পুজোর আগে আগে তৃণমূল ছাড়েন মুকুল রায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা ভোটে বিপর্যয় হয় বিজেপির। এর পরেই ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। বিধায়ক পদে ইস্তফা না দেওয়ায় খাতায়-কলমে মুকুল রয়ে যান বিজেপিরই। মুকুল যেদিন তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেওছিলেন সেকথা। 

{link}
এহেন মুকুলকে দলবদলের ‘পুরস্কার’ দিতে পিএসির চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে দেয় তৃণমূল। প্রথা অনুযায়ী, পিএসির চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় বিরোধী দলের কাউকে। এবং সেটি করেন স্পিকার নিজেই। যেহেতু মুকুল বিধায়ক পদে ইস্তফা দেননি, সেই ‘অজুহাতে’ তাঁকেই বসিয়ে দেওয়া হয় পিএসির চেয়ারম্যান পদে।
এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার হয় বিজেপি। এনিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে দরবারও করেন গেরুয়া নেতৃত্ব। শুরু হয় শুনানি। সেখানেও প্রায়ই গরহাজির থাকছেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, মুকুল রায় মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই বিধানসভা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওঁর ওখানে যাওয়ার মুখ নেই। তাই এড়িয়ে যাচ্ছেন। 


মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সামনের সপ্তাহেই তাঁর আদালতে যাওয়ার কথা। যা নিয়ে বেশ কিছুটা চাপে পড়েছেন মুকুল রায়। তার উপর সংবাদমাধ্যমের সামনে কয়েকটি বেফাঁস মন্তব্যও করেন তিনি। সব মিলিয়ে বর্তমানে সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে নাই বলা চলে রাজ্যের এই পরিচিত রাজনৈতিক মুখের। 
{ads}

news politics BJP TMC Dilip Ghosh Mukul Roy Assembly West Bengal India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :