header banner

উপদলীয় কোন্দলের জেরেই শান্তিপুর বিধানসভা হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির?

article banner

সামনেই রাজ্যের ৪ কেন্ত্রে উপনির্বাচন।এর মধ্যেই চলছে বিজেপির গোষ্ঠীদন্ধ।উপদলীয় কোন্দলের জেরেই শান্তিপুর বিধানসভা হাতছাড়া হতে পারে বিজেপির? অন্তত এমনই আশঙ্কা গেরুয়া নেতৃত্বেরই একাংশের। উপনির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে কোন্দল। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি রাজ্যের শাসক দল। তাঁদের দাবি, শান্তিপুরে এবার গোহারা হারবে বিজেপি। 

{link}
একুশের বিধানসভা ভোটে গোহারা হেরেছে বিজেপি। দিন কুড়ি আগের তিন কেন্দ্রের ভোটেও পরাজয় হয়েছে। দোরগোড়ায় আরও চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। চারটির মধ্যে দুটিতে জয়ী হয়েছিলেন পদ্ম-প্রার্থীরা। আর বাকি দুটির রাশ ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের হাতে। ওই ভোটে যে দুটি কেন্দ্রে পদ্ম ফুটেছিল, তারই একটি হল নদিয়ার শান্তিপুর। একুশের ভোটে শান্তিপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলতে তৃণমূল প্রার্থী। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী থাকলেও, তারা বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি। কেবল শান্তিপুর নয়, রাজ্যের ২৯২টির মধ্যে একমাত্র ভাঙড় ছাড়া অন্যত্র আর কোথাও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি জোট প্রার্থীরা। ভাঙড়ে জোটের তরফে জয়ী হয়েছিলেন আইএসএফ প্রার্থী। 

{link}
জোট ভোট না কাটায় এবং ‘বিজেপি হাওয়া’ থাকায় শান্তিপুরে হইহই করে জিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ১৬ হাজার ভোটে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী। জগন্নাথ সরকার সাংসদ। তাই দলীয় নির্দেশ মেনে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি। তার জেরেই এবার ওই কেন্দ্রে হচ্ছে উপনির্বাচন। পদ্ম চিহ্নের প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। সূত্রের খবর, এই নিরঞ্জনের সঙ্গে জগন্নাথের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। তাই নিরঞ্জনের প্রচারে তাঁকে প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। এর ওপর রয়েছে দলবদলের হিড়িক। গত কয়েক মাসে শান্তিপুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছেন বহু কর্মী-সমর্থক। তাই বিজেপি প্রার্থীর হার এক প্রকাশ নিশ্চিত বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। শান্তিপুরে বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন জগন্নাথ স্বয়ং। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে শান্তিপুরে আমাদের প্রার্থী গত বারের চেয়ে দ্বিগুণ ভোটে জিতবেন।

{ads}
 

news politics BJP TMC Shantipur Election West Bengal Bidhansabha উপনির্বাচন শান্তিপুর

Last Updated :