ত্রিপুরায় বিজেপি গড়ে ধস নামাতে কেষ্টকে চাইছে কর্মীরা! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য রাজ্যে বেশ জনপ্রিয় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। ত্রিপুরার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হঠাতে গেলে প্রচারে কেষ্টদাকে চাই-ই চাই। তার দাপটেই মিলবে জয়ের চাবিকাঠি। কলকাতায় ওই রাজ্যের নেতারা এসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এই অনুরোধই জানাবেন বলে জানা গেছে সূত্রের মাধ্যমে।
একুশে জয়ের পরেই পড়শি রাজ্যে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। বিপ্লব দেবকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা। ২১-এ জুলাইয়ে সেইরকম একটা সম্ভাবনা তৈরি হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই এখন থেকেই শুরু যাবে প্রচারের কাজ। সেই কাজে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি, দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে চাইছেন ত্রিপুরার ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।
{link}
বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নানা সময়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন অনুব্রত। নানা সময় পরোক্ষভাবে বিরোধীদের তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কখনও গুড় বাতাসা দেওয়ার নিদান দিয়েছেন তিনি। কখনও বা চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানোর পরামর্শ দিয়ে বিতর্ক বাঁধিয়ে দলকে বিপাকে ফেলেছেন তিনি। অনুব্রতের এই সব বিতর্কিত মন্তব্য বাংলা তো বটেই, বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরায়ও ভীষণভাবে জনপ্রিয়। সেখানকার তৃণমূল নেতাদের ধারণা, কেষ্টর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই লাইমলাইটে আসবে তৃণমূল। যার জেরে দলের ফল হবে ভালো। সেই কারণেই কেষ্টকে চাইছেন সে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। কেষ্টর পাশাপাশি কাকলি ঘোষদস্তিদার, দেবাংশু ভট্টাচার্যেরও চাহিদা রয়েছে ত্রিপুরাসুন্দরীর রাজ্যে।
ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিংহ জানান, বাংলার রাজনীতিতে বীরভূমের সভাপতি অনুব্রত জনপ্রিয় তাঁর মন্তব্যের জন্য। তিনি বলেন, কলকাতায় গিয়ে দিদির কাছে আবেদন জানাব, যাতে ভোটের প্রচারে অনুব্রতবাবুকে ত্রিপুরায় সভা করার অনুমতি দেন তিনি। এখন কেষ্টর কৃপায় হোক বা দাপটেই হোক না কেন তৃণমূল ত্রিপুরায় ঘাসফুল প্রস্ফুটিত করতে সক্ষম হবে কি? প্রশ্ন এখন সেটাই।
{ads}