আবারও কি এক অভাবনীয় বড়োসড়ো দলবদলের সাক্ষী হতে চলেছে বাংলার রাজনৈতিক মহল? গতকাল নিজের দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে বাবুল সুপ্রিয়। তবে কি এবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপির ‘প্রাক্তনী’ বাংলার এই দাপুটে রাজনৈতিক মুখ? রবিবার দিনভর এই জল্পনাই ঘুরপাক খেল রাজনৈতিক মহলে। বাবুল বিজেপিতে ইস্তফা দিতে চাইলেও, নাড্ডার অনুরোধে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত তা জমা দেননি বাবুল। তবে তিনি বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্তে এক প্রকার অনড় বলেই বাবুলের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া এক নেতার সঙ্গেও নাকি কথা হয়েছে বাবুলের। তার পরেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের খবরে জল্পনা ছড়িয়েছে।
ছিলেন গায়ক। পরে যোগ দেন রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধে যোগ দেন বিজেপিতে। গায়ক হিসেবে বাবুলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাঁর এই ইমেজটাই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে কাজে যে তিনি একশো শতাংশ সফল, তা বলাই বাহুল্য। তার কারণ আসানসোলের মতো তৃণমূলের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতেও বাবুলের অনায়াস জয়। বাবুলের বিরুদ্ধে সেবার তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মুনমুন সেন। মুনমুনকে ধরাশায়ী করেন বাবুল। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে পরাস্ত করার পুরস্কারও পেয়ে যান বাবুল। মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয় বাবুলের। দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
{link}
কিন্তু ছন্দপতন ঘটে একুশের ভোটের পরেই। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে বাবুলের বিজেপির প্রতি ক্ষোভ জন্মায় দিন কয়েক আগে। মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় বাদ পড়েন বাবুল। এর পরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন বাবুল। গতকাল, শনিবার রাতে বিজেপি ছাড়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। তার পরেই দিল্লি থেকে আসে জেপি নাড্ডার ফোন। শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত বাবুল ইস্তফা দেননি বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, তৃণমূলের এক অসমর্থিত সূত্রে খবর, ঘাসফুল শিবিরের এক নেতার সঙ্গে বাবুলের যোগাযোগ হয়েছে। তিনিও কিছুদিন আগে বিজেপিতে ছিলেন। তাঁর আহ্বানেই বাবুল যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। যদিও বাবুলের ঘনিষ্ঠ মহল এই জল্পনায় জল ঢেলে দেন। এখন দেখার, কোথাকার জল কতদূর গড়ায়! যদিও বাবুল-এর সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক প্রচন্ড রকম তিক্ততার। এইরকম তিক্ত সম্পর্কের জোড়া লাগলে তা বাস্তবিকভাবেই অস্বস্তিকর হবে বইকি!
{ads}