header banner

প্রবীন ছেড়ে এবার আস্থা বাড়ছে তারুণ্যের উপর?

article banner

১৬-এ ৭ সেখান থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রাপ্তি শূন্য। বামেদের পশ্চিমবঙ্গে ছবি বর্তমানে এমনই। শীর্ষ নেতৃত্বের পদে রয়েছেন আজও বামেদের সেই সমস্ত বৃদ্ধ নেতৃত্বেরা। কোনভাবেই গুরুত্ব বাড়তে দেওয়া হচ্ছে না তরুন তুর্কীদের। কিন্তু, তরুন নেতৃত্ব যে নেই তা তো নয়, আছেন, তবে নিজেদের পদ ছাড়তে ইচ্ছুক নন বয়জ্যষ্ঠ কর্মীরা। তবে এবার কি পরিবর্তন আসতে চলেছে এই দিনের? ইঙ্গিত সেই দিকেই। পাকা মাথার লোক নন, বামেদের প্রচারে এবার তারুণ্যের ঝড়! প্রার্থী থেকে প্রচার সবেতেই তরুণদের ওপর ভরসা করছেন বামেদের শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতার ভবানীপুর তো বটেই, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরেও প্রচারের সামনের সারিতে থাকবেন সিপিএমের তরুণ ব্রিগেড। নতুন ভোটারদের পাশাপাশি দলের পুরানো কর্মীদের মন পেতেই এই ব্যবস্থা বলে সিপিএমের একটি সূত্রের খবর। 


বঙ্গ সিপিএমের শীর্ষ স্তরে পাকা মাথার সারি। দলের ‘বৃদ্ধতন্ত্রে’-র বিরুদ্ধে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন নিচুতলা নেতা-কর্মীরা। তার পরেও শীর্ষস্তরে ভিড় করে রয়েছেন সাদা মাথারা। তার জেরে একুশের ভোটে বামেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছেন বলে দলেরই একাংশের ধারণা। সেই কারণেই এবার রাজ্যের তিন কেন্দ্রেই প্রচারে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তরুণ তুর্কিদের। 

{link}
৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে কলকাতার ভবানীপুরে। এদিনই নির্বাচন হবে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। ভবানীপুরে সংযুক্ত মোর্চার তরফে প্রার্থী দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশে কংগ্রেস প্রার্থী না দেওয়ায় ওই কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় সিপিএম। প্রার্থী তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি মুর্শিদাবাদের দুই আসনেও। তবে দুই কেন্দ্রেই প্রার্থী রয়েছে বামেদের। এই তিন কেন্দ্রেই এবার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছেন বামেরা।


তবে প্রচারে ‘বৃদ্ধ পিতামহ’-রা থাকছেন না বলেই খবর। প্রচারে আসছেন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষের মতো তাজা রক্তের নেতারা। সামশেরগঞ্জের সিপিএম নেতা তোয়াব আলি বলেন, আমরা দলের প্রার্থীকে জেতাতে প্রচারে নেমেছি। প্রবীণ নেতাদের আনা হচ্ছে না প্রচারে। তিনি বলেন, মীনাক্ষি সহ চার-পাঁচজন তরুণ নেতা আসবেন। তাদের একটা ইমেজ তৈরি হয়েছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। এই সব তরুণ ভোটারদের মনে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা তরুণ নেতাদের কথা শুনতে চান। তাই তাঁদের দিয়েই পথসভা করানো হবে। 


তবে কি এবার শেষ পর্যন্ত ভাঙতে চলেছে বামেদের এই প্রাচীন গড়ের দুর্গ? আসতে চলেছে তরুন তুর্কিদের যুগ? প্রশ্ন উঠছে, তৈরি হয়েছে সম্ভাবনা। বামেরা হারলেও হারিয়ে যে যায়নি তা স্পষ্ট হয়েছে একাধিকবার। কোভিডের সময়ে রেড ভলেন্টিয়ারদের সাহায্যের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে বহুবার। শূন্য থেকে ফেরার লড়াই এবার শুরু হল তবে? 
{ads}

news politics CPIM TMC BJP Biman Bose Satarup Ghosh West Bengal India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :