ফের কেন্দ্রীয় রাজনীতি তোলপাড় যোগদান ঘিরে। কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে! বুধবার দিনভর এই জল্পনাতেই উত্তাল হয়ে রইল বাংলা তথা দেশের রাজনৈতিক মহল। মঙ্গলবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এবং বেণুগোপালের সঙ্গে বৈঠক করেন পিকে। তার পরেই ছড়াতে শুরু করে জল্পনা। তবে কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন পিকে! যদিও এ ব্যাপারে এই বিষয়ে কংগ্রেস কিংবা পিকে, কেউই মুখ খুলতে ইচ্ছুক নন।
{link}
গত মাসে দুবার এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রশান্ত। প্রথমবার তিনি পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন একা। পরে পাওয়ারের দিল্লির বাড়িতে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের ১৫জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রশান্ত। ওই বৈঠকে কংগ্রেসের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁরা উপস্থিত হননি। বৈঠক শেষে পাওয়ার স্বীকারও করেন, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও উদ্যোগই সফল হবে না। এটা ঠিক যে, শক্তিহীন হলেও, দেশের সব রাজ্যেই সংগঠন রয়েছে কংগ্রেসের। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে যে কোনও উদ্যোগই হবে শূন্যে সৌধ নির্মাণের শামিল। সেই কারনেই হয়ত এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা ও বেণুগোপালের সঙ্গে প্রশান্তের বৈঠক। বৈঠকের পরে তাই প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়তেই কী গান্ধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রশান্ত?
পরে দিল্লির একটি সূত্রে জানা যায়, কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি। যদিও দিন কয়েক আগে পিকের সংস্থার একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল, নয়া দল গড়বেন তিনি। তবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ কংগ্রেসের মাঠ তৈরিই। নয়া দল গড়ার চেয়ে সেই মাঠে খেলা হবে অনেক বেশি অনায়াস। তাই পিকে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, এ খবর একেবারে মিথ্যে বলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পিকে নয়া দল গড়েন না কংগ্রেসে যোগ দেন, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
{link}
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে এখন থেকেই যে রাজ্য ও ভারতীয় রাজনীতি গরম হতে শুরু করে দিতে শুরু করে দিয়েছে তা স্পষ্ট। একুশের বিধানসভায় রাজ্যে বড়ো জয় পেয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রে জোরালো হচ্ছে তৃতীয় ফন্টের সম্ভাবনা। অন্যদিকে দলের অন্দরে বিক্ষোভের সুর চড়েছে পদ্ম শিবিরে। তবে কি চব্বিশে এক বড়োসড়ো পালাবদলের সাক্ষি হতে চলেছে দেশের মানুষ?
{ads}