তবে কি ঠিক ভোটের আগে যেরকম ভাঙন শুরু হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরে এবার তেমনই ভাঙন শুরু হল পদ্মের শিবিরেও? হাওয়া কিন্তু অনেকটা সেইরকম ইঙ্গিতই বইছে। ভোটের পর কার্যত বিজেপির পর নিজেদের যোগদান মেলার খেলা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। বাবুল সুপ্রিয়র মতো আরও অনেকেই যেতে থাকবে। এই মন্তব্য করেছেন সদ্য প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বয়স কম, অভিজ্ঞতাও কম বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তবে বাবুলের পরে কারা কারা দল ছাড়বেন, তা খোলসা করে বলেলনি দিলীপ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভবাডুবি সহ নানা কারণে সোমবার রাতে আচমকাই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। তার জায়গায় বসানো হয় আরএসএস ঘনিষ্ঠ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদারকে। এতেই দিলীপ ক্ষুব্ধ বলে বিজেপির একটি সূত্রের দাবি। যদিও দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
{link}
এদিন দিলীপ বলেন, সুকান্ত মজুমদারের বয়স কম, অভিজ্ঞতাও কম। কিন্তু তিনি বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত মানুষ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই দল তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও জানিয়ে দেন দিলীপ। সুকান্ত যাতে দলকে সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন, সেজন্য তথাগত রায় সহ অন্যদের সহযোগিতা করা উচিত বলেন মন্তব্য করেন তিনি।
এর পরেই বাবুলের প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপ বলেন, বাবুল সুপ্রিয়র মতো আরও অনেকেই যেতে থাকবে। তবে তার জন্য যে বিজেপির সাংগঠনিক প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না, তাও জানিয়ে দেন তিনি। বলেন, দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে রাজ্য চষে তিনি যে সংগঠনকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিলেন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
তবে কি কোথাও গিয়ে পদ হারানোর আক্ষেপ রয়েই যাচ্ছে দীলিপের অন্দরে? যতই হোক এতোকিছুর পরেও কিন্তু দলের প্রতি তার আনুগত্য একটুও কম হয়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আরও এরকম তার ন্যায় নেতা থাকলে ফলাফল পাল্টাতেও পারত বলে মতামত বহু রাজনীতিবিদদের। ভরাডুবি ঘটেছে দলবদলুদের কারনেই…
{ads}