উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগেই মোক্ষ্যম চাল রাহুল গান্ধির। তরুন দুই নেতাকে টেনে নিলেন কংগ্রেসে। দুর্যোগের মধ্যেই আশার রুপোলি রেখা! নাকি বিজেপিকে রামধাক্কা। কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে কংগ্রেসে কানহাইয়া কুমার ও জিগনেস মেবানির যোগদান! এদিনই উত্তর প্রদেশ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া জিতিন প্রসাদ। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই জনপ্রিয় তরুণ নেতাকে দলে টেনে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের আগে মোক্ষম চাল দিলেন রাহুল ব্রিগেড।
পঞ্জাব কংগ্রেসে ডামাডোল। বাংলায় কংগ্রেস ধুয়ে-মুছে সাফ। ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, গোয়ায় ঘাঁটি গাড়তে মরিয়া তৃণমূল। নিজেদের আসল কংগ্রেস বলে দাবিও করতে শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। এহেন আবহে সিপিআই ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন কানহাইয়া কুমার।
{link}
এক সময় রাজনৈতিক মহলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জেএনইউয়ের তরতাজা তরুণ কানহাইয়া কুমার। পরে তিনি যোগ দেন সিপিআইয়ে। বামপন্থী এই ছাত্রনেতার জ্বালাময়ী বক্তৃতা ঝড় তোলে তরুণ মনে। আট থেকে আশি আজও মুখিয়ে থাকেন কানহাইয়া কুমারের ভাষণ শুনতে। এহেন তরুণই ২৮ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন । মঙ্গল-দুপুরে কানহাইয়ার হাতে দলীয় ঝান্ডা তুলে দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
{link}
এদিন কানহাইয়ার সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গুজরাট বিধানসভার বিধায়ক দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি। রাহুলের উপস্থিতিতেই কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানকার এক দলিত নেতার কংগ্রেসে যোগদান দলকে শক্তিশালী করবে বলেই বিশ্বাস সোনিয়া গান্ধির দলের। সূত্রের খবর, এবার ভোটে দলিত ইস্যুকেই হাতিয়ার করবে কংগ্রেস। তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন হার্দিক প্যাটেল। জিগনেস কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
{link}
জেনেউ এর বাম ছাত্র নেতা এখন কংগ্রেসের শিবিরে। সেশ লোকসভা নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি যড় তুলেছিলেন। একটা সময়েবাম ছাত্র আন্দোলনে মুখ হয়ে ছিলেন। শাভাভিক ভাবেই বাম ছাত্র মহলে তিনিই ছিলেন নয়ন্মনি।কিন্তু তিনি নিজের কেন্দ্র থেকেই জিততে পারেননি। আখন কংগ্রেসে কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন তা ভবিশ্যত বলবে।
{ads}