header banner

বাংলার রাজনৈতিক মহলে বিলুপ্তির পথে সৌজন্যবোধ ?

article banner

গতকাল নন্দীগ্রামে জনসভায় কুনাল ঘোষের বক্তৃতা নিয়ে এখনও উত্তাল হয়ে রয়েছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল। কিন্তু হঠাৎ কেনই বা রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এহেন বেনজির আক্রমন করে বসলেন কুনাল? রাজ্যের একটা অংশের ওয়াকিবহাল মহলের মতে নিজেকে আসল তৃণমূল প্রমাণ করতেই শুভেন্দুকে বেনজিরভাবে আক্রমণ কুণাল ঘোষের। এর পাশাপাশি বিজেপিরও অভিযোগ অন্তত এমনই। এদিন নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বিধায়ক বিজেপির  শুভেন্দু অধিকারিকে বেইমান, অকৃতজ্ঞ, জানোয়ার সহ নানা বিশেষণে ভূষিত করেন কুণাল। বিজেপির দাবি, তৃণমূলে জায়গা পেতেই নিজেকে ঘোর বিজেপি বিরোধী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন কুণাল!

{link}

২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় মারা যান ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির বেশ কয়েকজন। শহিদ আখ্যা দিয়ে তাঁদের স্মরণে বেদি তৈরি হয় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে। ফি বার মধ্য রাতে শহিদ স্মরণে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসেন শুভেন্দু। শুভেন্দু ফুলবদল করার পর এবার শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানের রাশ হাতে নিয়ে নেয় তৃণমূল। এই অনু্ষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েই শুভেন্দুকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর জন্মবৃত্তান্ত নিয়েও তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।

 

চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে বছর দুয়েক আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল। তখন কেলেঙ্কারির জন্য তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছিলেন। গ্রেফতারি সময়-পর্বে নানা সময় তিনি কড়া ভাষায় আক্রমণও শানিয়েছিলেন মমতাকে। সেই কুণালই ছাড়া পেয়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সেই কেলেঙ্কারির কালো দাগ মুছে ফেলতেই কুণাল নিজেকে অতি বড় তৃণমূলী প্রমাণ করতে চাইছেন। তাই বিজেপির কোমর ভাঙতে দলের ডাকাবুকো নেতা শুভেন্দুকে ব্যক্তিগত আক্রমণও করতে কসুর করছেন না কুণাল। 

{link}
স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনা থেকে বাংলার রাজনীতির কঙ্কালসার অবস্থার ছবি উঠে আসছে। সৌজন্যের রাজনীতি এখন সেইভাবে চোখেও পড়ে কম। যা শোনা যা তা হল শুধুই একে অপরের প্রতি ঘৃনা ও অশ্রাব্য কুরুচিকর মন্তব্যের ঢেউ। বর্তমান সময়ে রাজনীতি মানেই কি তাই?  
{ads}

news politics Kunal Ghosh Suvendu Adhikari nandigram Mamata Banerjee BJP TMC West Bengal India politics রাজনীতি সংবাদ

Last Updated :