ফের ভাঙন বিজেপিতে? অন্তত এমনটাই শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।সূত্রের খবর, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায় এবং সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। বিজেপিতে বড়সড় ধসের ইঙ্গিত! গেরুয়া শিবির ছেড়ে এক সঙ্গে চার বিধায়ক যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে! এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জল্পনার কারণ ইদানিং এই চারজনকে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। বিজেপির তরফে অবশ্য এমন জল্পনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে।
{link}
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপক সাফল্যের পরে পরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কার্যত হিড়িক লেগে যায় ফুল বদলের। দলে দলে লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। একুশের ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় তৃণমূলের চোখধাঁধানো সাফল্য। এর পরেই শুরু হয় উলট পুরাণ। মোহভঙ্গ হওয়ায় বিজেপি ছেড়ে রাজ্যের শাসক দলের ছত্রছায়ায় ভিড়তে শুরু করেন ‘হাওয়া মোরগে’র দল।
{link}
গত পাঁচ মাসে বিজেপি ছেড়েছেন পাঁচজন। এঁদের মধ্যে তৃণমূলে গিয়ে ভিড়েছেন চারজন। এঁরা হলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস এবং কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায়। রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি ছাড়লেও, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনও দলে যোগ দেননি।
দলের এহেন বেহাল দশায় ফের ভাঙনের ইঙ্গিত। সূত্রের খবর, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায় এবং সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। ইদানিং এই চারজনকে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। সেই কারণে ক্রমেই জোরাল হয়েছে জল্পনা।
২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গবিজেপির গড় মজবুত করতে হবে। বিজেপিতে এসেছিলেন ক্ষমতার অলিন্দে থাকবেন বলে। কিন্তু নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে কার্জত তারা বুঝে যান আপাতত পশ্চিমবাংলাতে বিজেপির কোন ভবিষ্যৎ নেই। পুলিসি প্রহরায় নিল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ার স্বপ্ন শেষ। থাকতে হবে ক্ষমতার কেন্দ্রতে। তাই ভলবদল। তাই এবার ঘরে ফেরার পালা। প্রত্যেকেই গাইছেন আমায় একটু জায়গা দাও তোমার সম্মুখে বসি।
{ads}