একুশের হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের হাইভোল্টেজ লড়াই হয়েছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। শেষ মুহূর্তে সামান্য কয়েক হাজার ভোটে পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ভোটে তার জল বিপুল অঙ্কে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফেরে রাজ্যে। তারপরেই শুরু হয় উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর জিতে ফিরে আসার প্রসঙ্গ। দোরগোড়ায় উপনির্বাচন ধরে নিয়েই ভবানীপুরে প্রচার শুরু করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এজন্য নয়া স্লোগানও বেঁধেছে তারা। এই কেন্দ্রে এবার প্রার্থী হচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ঘাসফুল শিবিরের প্রচারের মূল মন্ত্র হল, উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভাবনীপুরে। কার্যত এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রচারের ঘুঁটি সাজানো।
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে গিয়ে প্রার্থী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্রে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই প্রাক্তন সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফল বেরলে দেখা যায় হাজার দুয়েক ভোটে শুভেন্দুর কাছে পরাস্ত হয়েছেন মমতা। যদিও সেই ফল মানতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে দলের ফল ভালো হওয়ায় ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন মমতা। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে ছ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে।
{ads}
দলনেত্রীকে তাঁর পুরানো কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভনদেব জয়ী হয়েছিলেন ভবানীপুরে। গত দশ বছর ধরে এই কেন্দ্রের রাশ ছিল মমতার হাতে। এবার শোভনদেব দাঁড়িয়ে জেতেন হাজার পঁচিশ ভোটে। শোভনদেব ইস্তফা দেওয়ায় এই কেন্দ্রে এবার হবে উপনির্বাচন। তৃণমূলের প্রার্থী হবেন মমতা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে পারে সেপ্টেম্বরে। দলনেত্রীকে বিপুল ভোটে জেতাতে কোমর কষে নেমে পড়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ছকা হয়ে গিয়েছে গেমপ্ল্যান। তৈরি হয়ে গিয়েছে নয়া স্লোগান। একুশের ভোটে তৃণমূলের স্লোগান ছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। আর এবার ভবানীপুরের জন্য তৃণমূলের তৈরি স্লোগান হল, উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে। এই মন্ত্রের শক্তি কত, এখন তাই দেখার।
{link}
যদিও নিজের জিতে ফেরার ব্যাপারে এর থেকে বেশি আত্মবিশ্বাস প্রদানকারী কেন্দ্র আর হয়না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এখন তিনি কতো বেশি ভোটে জয়লাভ করেন সেই দিকেই তাকিয়ে ছক কষছেন তৃণমূলের কর্মীরা। বিপক্ষেই বা কে দাঁড়াবেন? সেটাও একটা বড়ো প্রশ্ন অবশ্যই।
{ads}