গত ৩০সেপ্তেম্বের হয়েছে ভবানীপুরের উপনির্বাচন। ৫৮,০০০ ভোটের ব্যাবধানে বিজেপির প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওালকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই উপনির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই বেআব্রু বিজেপির মতানৈক্য! দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল এই জয়কে মানুষের জয় বলে মানতে চাইছেন না। যদিও তাঁরই দলের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গেরুয়া শিবিরেরই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনার হাত ধরে বাঙালির জয়, বাংলার জয় আসবেই।
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভোটে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেও যিনি সতীর্থ ছিলেন মমতার। শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁকে জায়গা দিতেই ইস্তফা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই কারণেই সেপ্টেম্বরের শেষ দিনে ভবানীপুরে হয়েছে উপনির্বাচন। বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
{link}
তৃণমূল প্রার্থীর এই জয়কে ঘিরেই বেআব্রু হয়ে পড়েছে বিজেপির অন্তর্কলহ! মমতার জয়কে মানুষের রায় বলে মানতে রাজি নন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তবে তৃণমূল নেত্রীকে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মমতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ও। টুইটের শেষে তিনি লেখেন, জো জিতা ওহি শিকন্দর। বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়ও শোনা গিয়েছে অকুণ্ঠ মমতা-স্তুতি।
{link}
মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কোর্টে গিয়ে ভোটের লড়াই হয় না। নির্বাচন কমিশনে গিয়েও হয় না। ভোটটা ময়দানে লড়তে হবে। জয়ের জন্য তৃণমূল প্রার্থীকে ধন্যবাদও জানান জয়। তিনি বলেন, এই জয়ের তুলনা নেই। আপনি অপ্রতিরোধ্য। আপনার হাত ধরে বাঙালির জয়, বাংলার জয় আসবেই। ইতিমধ্যেই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। সুত্রের খবর তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই এক এক করে ফিরে গেছেন তৃনমুলে। তাহলে কি অশান্তি শুরু হল বিজেপির অন্দরমহলে? দল ভাঙানোর খেলায় আখেরে যে দির্ঘমেয়াদি কোন লাভ হয় না তা হারে হারে টের পেয়েছে বিজেপি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গতে গ্রামিন স্তরে সংগঠন গড়তে না পারলে নির্বাচনে হারতেই হবে এটা বুঝেছে বিজেপি। বাস্তবে এই অভিজ্ঞতা থেকেই দলের মধ্যে তৈরি হয়েছে দন্দ।
{ads}