২০২১ বিধাননির্বাচনে আশানরুপ ফল পায়নি বিজেপি।এখন তাই মিশন ২০২৪। বঙ্গ বিজেপির গড় শক্ত করতে মাঠে নেবে পরেছে রাজ্য বিজেপি। এরপর বড়সড় রদবদল হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে। পুজোর আগেই বদলে যাবে সংগঠনের খোলনলচে। সূত্র থেকে জানা গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন বলিষ্ঠ এবং দক্ষ কোনও নেতা। এই পদে অনেকের কথা ভাবা হলেও, বিবেচনায় রয়েছে মূলতঃ তিনটি নাম। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন তৃণমূল থেকে আসা। বাকি দুজন আদ্যন্ত বিজেপি ঘরানার।
{link}
দিলীপ ঘোষের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। দিলীপ ঘোষকে দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ। তবে রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদগুলিতে নতুন মুখ আনার পাশাপাশি দলের যুব সংগঠনেও বড়সড় রদবদল হতে চলেছে। সাধারণ সম্পদক পদের দৌড়ে থাকা বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন মাত্র তিনজন।
{link}
এই দৌড়ে সবার প্রথমে রয়েছেন অর্জুন সিং। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এই নেতা বেশ লড়াকু বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল থেকে এলেও, তাঁর পুরানো দলের নেত্রীকে সুযোগ পেলেই তুলোধোনা করেন তিনি। দলীয় নেতৃত্বের কোনও সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করতে শোনা যায়নি তাঁকে। অর্জুনকে দায়িত্ব দিলে লাভ হবে দুটো,এমনটাই মনে করছে বিজেপি। এক, অন্য দল থেকে এলেও, দলের প্রতি আনুগত্য থাকলে বিজেপিতে ওপরে ওঠা যায়, এই বার্তা দেওয়া। আর দুই, অর্জুনকে গুরুত্ব দেওয়া হলে খুশি হবেন অবাঙালিরা। তাছাড়া তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও।
{link}
বিবেচনার তালিকায় রয়েছেন শিক্ষিত এবং বাগ্মী অনির্বাণ গাঙ্গুলি। গত কয়েক বছর ধরে তিনি রয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর পদে। রাজ্যের কোর কমিটিতেও রয়েছেন তিনি। সাতটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। জেতেননি। তবে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন খবর পেলেই।
দৌড়ের তালিকায় রয়েছেন দেবজিৎ সরকারও। দীর্ঘ সময় এ রাজ্যে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন তিনি। পেশায় উকিল। দলের অন্দরে তো বটেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও ভীষণ জনপ্রিয়। উনিশের লোকসভা ও একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও, জয়ী হননি। তার সত্ত্বেও দলে রয়েছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা। সম্ভবত দেবী পক্ষের আগেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ছবিটা।
{ads}