বিজেপি ছেড়ে কিছুদিন আগেই হাতে তুলেছেন জোরাফুলের পতাকা। তার আগেই এক এক করে ফিরে ৫ বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে ফিরে গেছেন তৃনমুলে। ফের কি ভাঙন ধরতে চলেছে গেরুয়া শিবিরে। এবার কি বিজেপি ছাড়ছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত আজ, সোমবার এমনই চর্চা শোনা গেল বঙ্গ রাজনীতির অঙ্গনে। কারণ ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আলাদা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তখনই জয়ের গলায় শোনা গিয়েছে ভিন্ন স্বর!
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ভোটে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেও যিনি সতীর্থ ছিলেন মমতার। শুভেন্দুর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁকে জায়গা দিতেই ইস্তফা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই কারণেই সেপ্টেম্বরের শেষ দিনে ভবানীপুরে হয়েছে উপনির্বাচন। এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
{link}
তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই বেসুরো গেয়েছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, কোর্টে গিয়ে ভোটের লড়াই হয় না। নির্বাচন কমিশনে গিয়েও হয় না। ভোটটা ময়দানে লড়তে হবে। বিজেপির এই তারকা নেতা বলেন, এই জয়ের তুলনা নেই। আপনি অপ্রতিরোধ্য। আপনার হাত ধরে বাঙালির জয়, বাংলার জয় আসবেই।
{link}
অন্য দিকে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী তৃণমূল নেত্রী। তবে জয় বিজেপিতেই রয়েছেন। ভোটের আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন পঞ্চাশ হাজার ভোটে জিতবেন তৃণমূল প্রার্থী। বাঙালি প্রার্থী না দেওয়ায়ই ফল খারাপ হবে বলে ইঙ্গিত করেছিলেন জয়। এবার সরাসরি জানিয়ে দিলেন, মমতার হাত ধরেই আসবে বাঙালির জয়। এতেই ছড়িয়েছে জয়ের তৃণমূল যোগের জল্পনা। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জয় বিজেপিতেই রয়েছেন, থাকছেন গেরুয়া শিবিরেই।
