প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বিপর্যস্ত অবস্থা উত্তরবঙ্গে, ক্ষনে ক্ষনেই খবরে ভেসে উঠছে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে পাহাড়ে। এর পাশাপাশি গত কয়েক মাসে বদলেছে পাহাড়ের সমীকরণও। এই পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক সমীকরণ এবং দুর্যোগের ঠিক কি প্রভাব উত্তরবঙ্গে তা চাক্ষুষ করতেই পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি মাসের শেষের দিকেই পাহাড় সফরে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহাড় সফর শেষ করে ফিরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
{link}
নবান্ন সূত্রে খবর, ২৫শে অক্টোবর উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন যোগ দেবেন কার্শিয়াঙে, প্রশাসনিক বৈঠকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বকেয়া জিটিএ নির্বাচন। গত চারবছর ধরে স্থগিত রয়েছে ওই নির্বাচন। তাছাড়া গত কয়েক মাসে বদলেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণও। পাহাড়ের মাথারা দল গড়েছেন আলাদা আলাদা। বিমল গুরুং, অনীত থাপা, বিনয় তামাং প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক দলের নেতা। গোর্খা জনমুক্তির এই নেতাদের ‘হাঁড়ি’ আলাদা হয়ে যাওয়ায় শক্তি বেড়েছে জিএনএলএফের। তাই পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণটা এবার পরখ করে নেওয়া দরকার তৃণমূল নেত্রীর। সেই কারণেই তিনি কার্শিয়াং যাচ্ছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তাছাড়া গুরুং, অনীত, বিনয়দের নাড়িটাও একবার মেপে দেখা দরকার! কারণ এঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন সময় ‘কাছের লোক’ ছিলেন তৃণমূল নেত্রীর।
{ads}
মুখ্যমন্ত্রীর কার্শিয়াং যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে আরও একটি কারণ। সূত্রের খবর, কার্শিয়াঙে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে গঠিত একাধিক কালচারাল বোর্ড। সেই সব বোর্ডের চেয়ারম্যান পদগুলিতেও বদল হয়নি দীর্ঘদিন। চলতি সফরে গিয়ে সেই বদলও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
{link}
অর্থাৎ দীর্ঘ তালিকা নিয়েই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ সফরে রওনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে বর্তমানে দুর্যোগপূর্ন পরিস্থিতিও একটি বড়ো কারন। শেষ কয়েকদিন বিপুল দুর্যোগ সহ্য করেছে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি অংশ। এখন কি কি সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে কিংবা উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে এসে তিনি নেন সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষজন এবং তার পাশাপাশি রাজ্যবাসীরও।
{ads}