গেরুয়া ঝড়ের আসার জল্পনা উড়িয়ে বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত ধুলোর মতো উড়ে গেছে পদ্মের ঝড়, চাপা পড়েছে ঘাসফুলের দাপটে। নির্বাচনে হারলেও উপনির্বাচনে জিতে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য জয় সম্পূর্ন হওয়ার পরেই ভারতবর্ষের আরও বিভিন্ন রাজ্যে নিজ দলের সংগঠন বিস্তার করার লক্ষ্যে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। মেঘালয়ে দলের ইউনিট খুলেছে। তাই যাবেন মেঘালয়। পথে অসমের কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, ২০ ডিসেম্বর তিনি যেতে পারেন কামাখ্যা মায়ের দর্শনে। প্রথমে পুজো দিয়ে তারপর যাবেন মেঘালয়।
{link}
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। প্রথম দফায় ভোট হওয়া ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৩টি পায় তৃণমূল। তার পরেই গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারে উদ্যোগী হয় তৃণমূল। উত্তর পূর্বের ত্রিপুরার পাশাপাশি মেঘালয় দখলেও উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতৃত্ব। মেঘালয়ে ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিরোধী দলের মর্যাদা খুইয়েছে কংগ্রেস। এবার সেই জায়গা পেয়েছে তৃণমূল। তাই মেঘালয় সফরে যাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ২০ ডিসেম্বর অসমে গিয়ে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেবেন। সেখান থেকেই যাবেন মেঘালয়ে।
{link}
চলতি মাসের ১৩ তারিখে ফের গোয়ায় যাবেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে অংশ নিতে পারেন নির্বাচনী প্রচারে। গোয়া থেকে ফিরে মেঘালয়ে যাওয়ার কথা। সেই পথেই যাবেন কামাখ্যা মন্দিরে দেবদর্শনে। সেখান থেকে ফিরে দার্জিলিং যাওয়ার কথা তাঁর। চলতি মাসের ২৭ তারিখে দার্জিলিং যাওয়ার কথা। নতুন বছরে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নির্বাচন রয়েছে। এই সফরে সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জেলা সফর শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গেলেও, দার্জিলিং জাননি। অক্টোবরের শেষে কার্শিয়াং গিয়ে বলেছিলেন দার্জিলিংয়ে যাবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই যাবেন দার্জিলিং। বছর শেষের দিনটি তিনি সম্ভবত পাহাড়েই কাটাবেন। অর্থাৎ আসন্ন সময়ে কার্যত দৈনিক ঠাসা কর্মসূচী রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। দলীয় সাংগঠনিক সফর ছাড়াও প্রশাসনিক বৈঠকও সারছেন তিনি রাজ্যের একাধিক জেলায়। কেন্দ্রীয় স্তরে দলকে উপস্থাপিত করাও একটি বৃহৎ লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। এখন দেখার, চব্বিশে সাফল্য আসে নাকি।
{ads}