header banner

বিজেপিকে হারাতে এক হতেই হবে, চব্বিশের লক্ষ্যজয়ে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী

article banner

সামনে লক্ষ্য একটাই, বিজেপিকে পরাজিত করা। সেই বিজেপিকে হারাতে এক হতেই হবে। বিজেপিকে হারাতে হলে সবার একত্রিত হওয়া দরকার। আমি একা কিছু নই। আজ, বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথাই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও।  

{link}
বছর দুয়েক পরে সোমবার দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎকারকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে অভিহিত করেছেন মমতা। এই একই দিনে মমতা দেখা করেন তিন প্রবীণ কংগ্রেস নেতার সঙ্গে। এঁরা হলেন কমলনাথ, আনন্দ শর্মা ও অভিষেক মনু সিংভি। 
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে বুধবার বিকেলে মমতা সনিয়ার বাড়িতে যান চায়ে পে চর্চায় যোগ দিতে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। সনিয়ার বাড়িতে মমতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধি। বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা বলেন, বৈঠক ইতিবাচক। বিরোধী ঐক্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপিকে হারাতে এক হতেই হবে। বিজেপিকে হারাতে হলে সবার একত্রিত হওয়া দরকার। আমি একা কিছু নই। আমি রাস্তায় নেমে লড়াই করি। তিনি বলেন, একটা জোট গঠন হবে। সেই জোটে অংশ নিতে সমমনোভাবাপন্ন সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সনিয়ার সঙ্গে পেগাসাস ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, পেগাসাস নিয়ে সংসদে কেন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না সরকার। পেগাসাস নিয়ে সত্যি জানতে চায় দেশবাসী। সংসদে এ নিয়ে আলোচনা না হলে কোথায় হবে? মমতার দাবি, পাড়ার কোনও চায়ের দোকানে নয়, পেগাসাস নিয়ে আলোচনা করতে হবে সংসদেই।

{link}
একুশে রাজ্যে বিজেপিকে পরাজিত করার পর এবার চব্বিশে বিজেপিকে পরাজিত করতেও এখন বদ্ধপরিকর তৃণমূল নেত্রী। যেই কারনেই তার এই দিল্লি যাত্রা, লক্ষ্য বিরোধী জোট গঠন। সেই লক্ষ্যপূরনেই বিগত দিনে দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বদের সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। চব্বিশে কি পদ্মের অস্তিত্ব বজায় থাকবে নাকি আসবে কোন নতুন শাসকদল? সেটার উপরেই কিন্তু নির্ভর করবে ভারিতের তার পরবর্তী ৫ বছরের ভবিষ্যৎ। শেষ পর্যন্ত সবটাই নির্ভর করে জনতার উপরে। 
{ads}

news politics Mamata Banerjee TMC Congress Sonia Gandhi Congress Delhi West Bengal India সংবাদ রাজনীতি

Last Updated :