এতোদিন রাজ্যের অর্থনৈতিক বিভাগের দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সামলেছেন। এবার আসন্ন সময়ে অর্থ দফতরের রাশ নিজের হাতে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানায় এই দফতরের রশি ছিল বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অসীম দাশগুপ্তের হাতে। তৃণমূল সরকারের প্রথম দুই দফায়ও অর্থমন্ত্রী ছিলেন অর্থনীতির আর এক কৃতী ছাত্র অমিত মিত্র। এবার সেই দফতরেরই রাশ চলে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। অর্থ দফতরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের রাশ কোনও অর্থনীতিবিদের হাতে না দেওয়ায় অন্যদিকে হাসির রোল বিরোধী শিবিরে।
{link}
বিপুল জনাদেশ নিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এ নিয়ে পর পর তিনবার। ২০১১ এবং তার পরের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অমিত মিত্রের হাতে। ওই দুবারই তিনি জয়ী হয়েছিলেন খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আর প্রার্থী হননি অমিত। শরীর খারাপের কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তবে এতদিন তিনিই সামলাচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব। বাড়ি থেকেই দফতর সামলাচ্ছিলেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী, কাউকে মন্ত্রী থাকতে গেলে ছ মাসের মধ্যে রাজ্যের যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হতে হয়। যেহেতু অমিত এবার প্রার্থী হননি, তাই মন্ত্রী থাকতে পারবেন না তিনি। সেই কারণেই এবার অর্থ দফতর নিজের হাতে নিতে চাইছেন মমতা। সূত্রের খবর, এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর দফতরের উপদেষ্টা পদে থাকবেন অমিতই।
{link}
অর্থ দফতরের রাশ মমতার হাতে যেতে পারে শুনে ক্ষুব্ধ বিরোধীদের একাংশ। তাঁদের মতে, যে কোনও বিধায়কই যে কোনও দফতরের মন্ত্রী হতে পারেন। তবে বাম জমানার শুরু থেকে এ যাবৎ কাল পর্যন্ত বাংলায় অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তাঁরাই, যাঁরা অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তৃণমূল নেত্রী অর্থনীতির ছাত্রী নন বলেই সবাই জানে। তাই তিনি অর্থ দফতরের দায়িত্ব নেওয়ায় হাসির ছররা বিরোধী শিবিরে। তবে রাজ্যের একাংশের রাজনীতিবিদদের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ কাঁধে এই দায়িত্ব নিলেও আড়াল থেকে এই দায়িত্ব সামলাবেন অমিত মিত্রই। তিনি বয়সের কারনে প্রকাশ্যে এই দায়িত্বে না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর নামের আড়ালে দায়িত্ব সামলাবেন তিনি নিজেই।
{ads}