রাজ্যে উপনির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততোই বেড়ে উঠছে রাজনৈতিক লড়াই। এবার প্রকাশ্যে প্রচারও শুরু হল ভবানীপুরে। এর মাধ্যেই ফের নিজের মন্তব্যের জেরে হেডলাইনে মুখ্যমন্ত্রী। আমি হিন্দুস্তানকে পাকিস্তান হতে দেব না। না, এই দাবি কোনও বিজেপি নেতার নয়। এই ঘোষণা ভবানীপুর উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আহমেদাবাদে গিয়েও লড়ব।
৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হওয়ার কথা ভবানীপুরে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে ব্যাপক সাফল্য পায় তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারির কাছে ‘হেরে’যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীকে ‘জায়গা’ দিতে ভবানীপুরের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই ভবানীপুরে হচ্ছে উপনির্বাচন।
{link}
এই উপনির্বাচনের প্রচারেই প্রতিদিন বের হচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। এবার প্রচারে বেরিয়ে তিনি প্রথমেই মুসলিম অধ্যুষিত ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন। সেখানে ষোল আনা মসজিদে গিয়ে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এর পরেই মুসলিম তোষণের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। ফি বার ইদেও মমতা জমায়েতে গিয়ে নমাজ পড়েন। যা নিয়ে কম হইচই হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার মুসলিম তোষণের অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোটেও প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। প্রচারে বেরিয়ে তিনিও মমতাকে ‘বেগম’ বলে আক্রমণ শানান।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর একটি সম্প্রদায়ের প্রতি এই প্রীতি যাতে ভোটের বাক্সে প্রভাব না ফেলে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন তৃণমূল প্রার্থী। তাই তিনি এদিন বলেন, নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলছিল। এখন ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলবে। এর পরেই তাঁর ঘোষণা, আমি হিন্দুস্তানকে পাকিস্তান হতে দেব না। অর্থাৎ ভোট নিয়ে বর্তমানে অনেকটাই সতর্ক রয়েছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী এই কেন্দ্রেও যাতে কোনরকম বিপর্যয় না ঘটে যায় সেই দিকটিই গুছিয়ে রাখতে চাইছেন। আকাঙ্খিত জয় কি তবে শুধুই সময়ের অপেক্ষা?
{ads}