মিটে গিয়েছে নন্দীগ্রামের নির্বাচন, তবুও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে সবথেকে বড়ো প্রতিপক্ষ তারই একসময়ের রাজনৈতিক ময়দানের সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারী। সেই তিনিই যে এখন রাজ্যে তার বিরোধী পদে রয়েছেন তা পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে তিনটি কাজ করেছেন, ভাতা, ভিক্ষা এবং ভর্তুকি। ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারে গিয়ে একথা বলেন শুভেন্দু অধিকারি। মমতার সরকার যে ঋণের বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছেন, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
৩০শে সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আর কাস্তে হাতুড়ি চিহ্নে লড়ছেন সিপিএমের তরুণ আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। একুশের ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতা দাঁড়িয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হাজার দুয়েক ভোটে হেরে যান তিনি। দলনেত্রীকে জায়গা ছাড়তে ইস্তফা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব। সেই কারণেই এই কেন্দ্রে হচ্ছে উপনির্বাচন।
{link}
ভবানীপুরে অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল। তবে বিনা যুদ্ধে তাদের সূচ্যগ্র মেদিনী ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। সেজন্য কোমর কষে নেমে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। প্রিয়ঙ্কার হয়ে প্রচার করে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও। প্রচারে বেরিয়ে তিনি নিশানা করেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে তিনটি কাজ করেছেন, ভাতা, ভিক্ষা এবং ভর্তুকি। এসব করতে গিয়ে সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বলেও ঘোষণা করেন শুভেন্দু। বলেন, রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় আসার সময় যেখানে এক লক্ষ পঁচাশি হাজার কোটি টাকার দেনা ছিল, তা এখন পাঁচ লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছেছে। এখানে ব্যবসা, শিল্প, চাকরি কিছুই নেই বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, মোদিজি যেখানে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন নির্ভরশীল বাংলা।
বাংলায় এক প্রবাদ ছিল, ঘর শত্রু বিভীষণ, এখন কার্যত রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলের জন্য তাই হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু। দল থেকে একের পর এক নেতৃত্ব বিদায় নিচ্ছেন, যোগদান করছেন বিরোধী শিবিরে। ক্রমশই রাজ্যে ভেঙে পড়ছে তার দল, তিনি কিন্তু অনড় আছন তার দাপটের সাথে।
{ads}