একসময় তাকে বঙ্গ রাজনীতির চানক্য বলে অভিহিত করা হত, কিন্তু এখন সেই মুকুলই কখন কি বলেন তার ঠিক থাকেনা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার পরেও একাধিকবার বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে, তৃণমূল কংগ্রেস পরাজিত হবে, এহেন মন্তব্য করেছেন তিনি, তাও আবার জনসমক্ষে। মাঝে মধ্যেই অগোছালো কথা বলছেন মুকুল রায়। যার ফলে তাঁর মস্তিষ্কবিকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে তিনি যে সম্পূর্ণ সুস্থ তা জানিয়েছেন তৃণমূলেরই একটি অংশ। পিএসসির চেয়ারম্যান পদ এবং বিধায়ক পদ বাঁচাতে সচেতনভাবেই তিনি অগোছালো কথাবার্তা বলছেন বলে ধারণা তাঁদের। তবে দলীয় নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়ার ভয়ে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি কেউই।
{link}
২০১৭ সালে পুজোর আগে তৃণমূল ছেড়ে দেন মুকুল রায়। এর ঠিক দু মাস পরে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। পণ করেন তৃণমূলকে শেষ করার। এর পরেই তৃণমূল ভাঙানোর খেলায় মাতেন মুকুল। গত বছর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক নেতা। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি ফেরেন তৃণমূলে। এর পরেই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয় পিএসসির চেয়ারম্যান পদে। নিয়ম অনুযায়ী, পিএসসির চেয়ারম্যান হন বিরোধীদের মধ্যে থেকে কেউ। তাই মুকুলকে ওই পদে বসানোর তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। তৃণমূলের ওই অংশের মতে, এসব থেকে বাঁচতেই অগোছালো কথাবার্তা বলছেন মুকুল। তবে তিনি যে সম্পূর্ণ সুস্থ, তার প্রমাণ মেলে তাঁর সাম্প্রতিক অভিষেক-স্তুতিতে। অভিষেকের প্রশংসা করে মুকুল বলেন, অভিষেকের এই সিদ্ধান্তই বলে দিচ্ছে কত পরিণত হয়ে উঠেছে সে।
{link}
প্রসঙ্গত, করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে আগামী দু মাসের জন্য যাবতীয় মিটিং-মিছিল নির্বাচন স্থগিত রাখার পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। তারই প্রশংসা করেন মুকুল। এতএব তিনি এখন আদৌ অসুস্থ নাকি সুস্থ তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে না। রাজনৈতিক তরজা যে শুরু হয়েছে তা স্পষ্ট। তবে যে দাপুটে মুকুল রায় কে বঙ্গ রাজনৈতিক মহল চিনত, তিনি কার্যত নিখোঁজ বর্তমানে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।
{ads}