তার দলবদলের পরেই বদলেছিল চিত্রটা। যারা একসময় তার নিজের দলেরই সঙ্গী ছিলেন, তারাই তার উপর একের পর এক বাক্যবানরূপি কাদা নিক্ষেপ করতে থাকেন। তাঁকে টপ টু বটম কোরাপ্টেড তকমা দিয়েছেন হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একসময় গদ্দার বলে দেগে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুও করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখন সেই তদন্তের কী হবে? প্রশ্ন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির।
{link}
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি ঘুরে ফের জোড়াফুল শিবিরে ফিরেছেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। ডোমজুড়ের এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছিলেন, যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ও কিছু কারসাজি করেছে। আমরা তার তদন্ত করছি। এর পরে আপনারা যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের দাবি সত্যি হলে আমরা পুনর্বিবেচনা করব।
{ads}
দুবাইতে রাজীবের বাড়ি আছে বলেও দাবি করেছিলেন মমতা। জনসভায় তিনি বলেছিলেন, গত বারে এক গদ্দারকে এখানে (ডোমজুড়ে) প্রার্থী করেছিলাম। গদ্দার জনগণের টাকা মেরেছেন। আমায় বলেছিল, ওকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট দেওয়া হোক। যাতে আরও কমিশন নিতে পারে। সেচ দফতরে দুর্নীতি করে অনেক টাকা করেছে। অভিযোগ আসায় ওকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে দিই। পরে বন দফতরে দিই। বুঝতে পারিনি তার ভিতরে এত প্যাঁচ রয়েছে। কলকাতায়, দুবাইয়ে অনেক সম্পত্তি করেছে। আগে জানলে ওকে অনেক আগেই সরিয়ে দিতাম।
{link}
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বন সহায়ক পদের নিয়োগ নিয়ে তদন্ত চেয়েছিলাম। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, এটা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত চাই। তিনি সম্ভবত একটি তদন্ত কমিটিও করেছেন। এখন আমরা অধীর অপেক্ষায় ওই তদন্ত শেষ হয় কিনা তা দেখতে। কথার যুক্তি কিন্তু যথেষ্টই রয়েছে। যদি কথাগুলি মিথ্যে হয় তবে বললেন-ই বা কেন মুখ্যমন্ত্রী, আর যদি সত্যি হয় তবে আবার কেনই বা তাকে ফিরিয়ে নিলেন দলের অন্দরে? প্রশ্ন উঠলেও রাজনীতিতে এহেন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাওয়ার ঘটনা বিরল।
{ads}