এবার ফের গৃহযুদ্ধ বিজেপিতে, তাও দলের দুই প্রধান শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে। দলীয় এক কাউন্সিলরেরর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার জেরে কার্যত ভেস্তে গেল পুরভোট নিয়ে বিজেপির ভার্চুয়াল বৈঠক। এই বৈঠকে বিজেপি নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তুমুল বাকযুদ্ধ হয় দলের তারকা নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বলে সূত্রের খবর। তার পরেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যসভার সাংসদ রূপা। সুকান্ত বৈঠকে ছিলেন বলেই দাবি জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। যদিও প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কিছু যানা যায়নি, তবে ইঙ্গিতপূর্নভাবে একটি বচসা যে হয়েছে বেশ কিছু সূত্রে সেই খবর মিলেছে।
কিছুদিন আগে দিঘা থেকে কলকাতার দিকে ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কলকাতা পুরসভার বিরোধী কাউন্সিলর তথা দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক নেত্রী তিস্তা বিশ্বাসের। এর পরেই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলেন রূপা। যদিও তাঁর সঙ্গে গলা মেলাননি বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার ফেসবুক পোস্টে রুপার দাবি, তিস্তার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি। মৃত্যু নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। যে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা জলঘোলা হয়েছে।
{link}
বিজেপির হাতে গোনা যে কয়জন মহিলা ফ্রন্টফুটে থেকে লড়াই করেন, রুপা তাঁদের অন্যতম। এই রূপাই এক সময় ছিলেন বিজেপির মুখ। পরে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠানো হয়। এহেন রূপা বাকবিতণ্ডার জেরে আচমকাই বেরিয়ে যান দলের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে। রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর রূপা কার্যত দিল্লির রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। অবশ্য বাংলার রাজনীতিতেও তাঁকে মাথা ঘামাতে দেখা যায় প্রায়ই। তিস্তার মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব রূপার দাবিকে বিশেষ মান্যতা না দেওয়ায়ই ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেত্রী। তবে দলের এহেন শীর্ষ মহিলা নেত্রীর সাথে রাজ্য সভাপতির বচসা সে বিজেপির জন্য খুব একটা সুখের খবর নয়, সেই কথাও অনেকাংশে স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজ্যের একটি বড়ো অংশের রাজনীতিবিদেরা। কারন এহেন চিত্র বাস্তবিকভাবেই যা ইঙ্গিত করছে তা হল দলের অন্দরে ক্ষোভ ও গোষ্ঠীকোন্দলের।
{ads}