header banner

যোগদান করার সাথে সাথে ঘাসফুলে চাহিদা ও গুরুত্ব বাড়ছে সুস্মিতার

article banner

কংগ্রেস ছাড়ার পর গতকালই তিনি যোগদান করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরই মধ্যে ব্যাপক ডিমান্ড হয়ে উঠেছে সুস্মিতা দেব-এর। ত্রিপুরায় তাঁকেই তৃণমূলের মুখ করা হোক, দাবি সেখানকার কর্মীদের। আনুষ্ঠানিকভাবে কালীঘাটে দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই অনুরোধ পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। শিলমোহরের অপেক্ষায় হা পিত্যেশ করে বসে রয়েছেন ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবেই তিনি যদি ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূলের পক্ষে লড়াইয়ে নামেন তাহলে অনেকটাই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে তৃণমূল কংগ্রেসের তা স্পষ্ট। 

{link}
রাহুল গান্ধির ঘনিষ্ঠ সুস্মিতা দেবের জনপ্রিয়তা সর্বভারতীয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিচিত মুখও তিনি। দীর্ঘদিন মহিলা কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও ঈর্ষণীয়। এহেন হাই-প্রোফাইল সুস্মিতাকে ত্রিপুরার মুখ করতে চান সেখানকার রাজ্য তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিং। প্রয়াত সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতার জনপ্রিয়তা বাবার ব্যানারেই। এক সময় সন্তোষমোহনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল ত্রিপুরা ও অসমে। অসমের শিলচর থেকে পাঁচবার ও ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে দুবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলটাকে সন্তোষমোহন চিনতেন হাতের তালুর মতো। দীর্ঘদিন বাবার ছত্রছায়ায় থাকায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঘাটঘোল ভালোই চেনেন সুস্মিতা। তাই তাঁকেই নেত্রী হিসেবে চাইছে ত্রিপুরা তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে খবর, সুস্মিতাকে ত্রিপুরার মুখ করা হলে এক ঢিলে একাধিক পাখি মারা যাবে। তাঁকে দিয়ে একদিকে যেমন দ্রুত বাড়ানো যাবে সংগঠনের কাজ, তেমনি ভাঙানো যাবে ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সংগঠন। কাজে লাগানো যাবে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তাও।

{link}
তবে ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলালের দাবি মেনে সুস্মিতাকে ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হবে কিনা, তা একান্তভাবেই নির্ভর করবে কালীঘাটের ওপর। যেহেতু তিনি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে একজন বড় মুখ, তাই তাকে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও কোন বড়ো দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এখন তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্ব কোন পদের বা কোন দায়িত্বের জন্য নির্বাচন করেন তাই দেখার বিষয়। 
{ads}

news politics Susmita Deb TMC Trinamool Congress West Bengal Tripura Congress BJP India ত্রিপুরা রাজনীতি

Last Updated :