রাজ্যে বিজেপির কোন কর্মসূচি মানেই জয় শ্রী রাম স্লোগান। যে স্লোগান যে রাজ্যবাসী খুব ভালোভাবে নেয়নি তা পরিস্কার ভাবেই বুঝতে পেরেছে বিজেপি শিবির। বিশেষ করে নেতাজির ১২৫ বর্ষপূর্তীর ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানের ঘটনার পর। তাই এবার থেকে রাম নন, মা কালীর ওপরই ভরসা করতে শুরু করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রামের শরণ নিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের ফল ভালো হয়নি। তাই এবার মা কালীর দ্বারস্থ শুভেন্দু। ভবানীপুর সহ রাজ্যের তিন কেন্দ্রের ভোটের আগে যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয় বাংলার আকাশ বাতাস। ভোট যতই এগিয়ে এসেছে, সেই শব্দের ‘ব্রহ্মত্ব’ও ততই প্রকট হয়েছে। চন্দ্রকোণা এলাকায় প্রচার যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়েছিলেন দুই তরুণ। গাড়ি থেকে নেমে তিনি তাঁদের তাড়া করেছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে যে ছবি পৌঁছে গিয়েছিল বাংলার ঘরে ঘরে।
{link}
লোকসভা নির্বাচনের পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও জয় শ্রীরাম ধ্বনিকেই হাতিয়ার করেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তাতে যে বিশেষ সুবিধা হয়নি, ভোটের ফলেই তা মালুম। লক্ষ্যমাত্রা ২০০ আসনের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি বিজেপি। মাত্র ৭৭টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় সর্বভারতীয় এই দলকে। দল বদলের জেরে এই সংখ্যাটাও কমতে কমতে কতয় গিয়ে দাঁড়ায়, সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এখনই।
দলের ফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব দেখেন, হিন্দিভাষীদের জয় শ্রীরাম ধ্বনি বিশেষ ছাপ ফেলেনি বঙ্গভূমিতে। সেজন্য বাংলার অতি পরিচিত কালীর ওপরই ভরসা করতে রাজ্য নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার দেখা গেল, শুভেন্দু সেই নির্দেশ মান্য করছেন। বিধানসভা ভোটে তাঁকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দেখা গেলেও, এবার তিনি মা কালীর শরণাপন্ন হয়েছেন। রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে করা একটি টুইটের শেষে শুভেন্দু লিখেছেন, জয় মা কালী।
অর্থাৎ এখানে টিকে থাকতে হলে এখানকার মানুষের প্রিয় ভগবানের উপরেই আস্থা করে চলতে হবে। এই প্ল্যান নিয়েই এগোতে চাইছে রাজ্য বিজেপির শিবির।
{ads}