নির্বাচনের আগে হুড়মুড়িয়ে তৃণমূল ছেড়ে উজ্জ্বল রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এর আশায় পদ্মফুলের ঝাণ্ডা হাতে তুলে নিয়েছিলেন রথি-মহারথিরা। নির্বাচনে আশানরুপ ফল পায়নি বিজেপি। তাই একে একে ফিরে যাচ্ছেন পুরনো ঘাঁটিতে। এবার দলবদলুদের দলে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। গত এক সপ্তাহে তিন বিধায়ক পদ্ম ফুল ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন জোড়াফুল আঁকা ঝান্ডা। পাইপলাইনে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। তবে এঁদের ফেরাতে সময় নিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যা থেকে হতাশা শুরু হয়েছে ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে চাওয়া বিজেপি নেতাদের।
{link}
২০১৭ সালে পুজোর ঠিক আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। পুজোর পরে তিনি যোগ দেন পদ্মশিবিরে। সেই শুরু। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙন শুরু হয়েছিল জোড়াফুল শিবিরে। বিজেপি ক্ষমতায় আসছে আঁচ করে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে থাকার লোভ সামলাতে না পেরে জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মশিবিরে ভিড়েছিলেন হাওয়া মোরগের দল। সেই সময় তৃণমূলের বাপান্ত করেছেন তাঁদের অনেকেই। বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। লক্ষ্যমাত্রা ২০০ আসনের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল। এর পরেই মোহভঙ্গ হয় দলবদলুদের। শুরু হয় উজান স্রোতে হাঁটা।
{link}
নির্বাচনের পর দলবদলুদের বেশিরভাগই তলে তলে যোগাযোগ করতে শুরু করে দেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। তার জেরে শুরু হয়েছে তৃণমূল ওয়াপসি। যার জেরে মাস দুয়েকের মধ্যে পদ্ম শিবির ছেড়ে বিজেপিতে ভিড়লেন চারজন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বিজেপির মুকুল রায়। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক বিজেপির তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক বিজেপির সৌমেন রায়।
এতেই শুরু হয়েছে হতাশা। তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে কাতর আবেদন করেছেন প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালী গুহ সহ বেশ কয়েকজন। তবে তাঁদের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে হতাশা। যদিও সংবাদ মাধ্যময়ের সামনে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই।
{ads}