header banner

বিধানসভা ভোটে হাওড়ার ফলাফলকে কেন্দ্রকরে বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠকে ধুন্ধুমার

article banner

ভোটের ফলাফলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি জেলা বিজেপির অন্দরে। বিধানসভা ভোটে হাওড়ার ফলাফলকে কেন্দ্রকরে বিজেপির  পর্যালোচনা বৈঠকে ধুন্ধুমার। সূত্রের খবর সাংগঠনিক ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে উত্তর হাওড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক আয়োজন করেছিল বিজেপি শিবির। সেই বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের খামতি তুলে ধরার 'অপরাধে' দরজা বন্ধ করে দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হল কর্মীদের। মারধর করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে একজন হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের আক্রান্ত কর্মীদের।

 

গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের ওপরে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী ফলাফলকে কেন্দ্র করে পর্যালোচনা চলছে বিজেপি'র। ১৫ ই সেপ্টেম্বর উত্তর হাওড়া বিধানসভা একাধিক বিজেপি নেতৃত্বদের অভিযোগ, তাঁরা সেই সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন। সেই সাংগঠনিক সভায় তাঁরা জখন অংশগ্রহণ  করেন এবং তাঁদের অভিমত প্রকাশ করে বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময় তাঁদের ওপরে হামলা চালানো হয়। 


সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য নেতা দেবাঞ্জন গুহ, রাজ্য নেতা ও বিজেপির উত্তর হাওড়ার প্রার্থী উমেশ রাই, হাওড়া জেলা সদর সভাপতি সুরজিত সাহা, জেলা পার্টি নেতা বিনয় আগরওয়াল,বিমল প্রসাদ,গৌতম গোস্বামী প্রমুখ। 

{link}
আ্ক্রান্তদের অভিযোগ, নেতা দেবাঞ্জন গুহ, সুরজিৎ সাহার সামনেই জেলা নেতৃত্ব উমেশ রাই,  বিনয় আগওয়াল, বিমল প্রসাদ, অদেশ সাউ  রা তাঁদের ওপরে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাতে রক্তাক্ত ও জখম হন তাঁরা। ওপেনহার্ট সার্জারী হওয়া বিশ্বনাথ মোদক কেও বুকে ঘুষি,  লাথি মারা হয়। মারের হাত থেকে বাঁচতে তাঁরা সভাকক্ষ থেকে কোনো রকমে পালিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন। গুরুতর জখম বিশ্বনাথ মোদককে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। হামলাকারি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গোলাবাড়ি থানায় গতকাল রাতে অভিযোগ জানানোর পর বৃহস্পতিবার  পুলিশ কমিশনারের কাছেও অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।


এপ্রসঙ্গে জেলা সদর সভাপতি সুরজিত সাহা জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা দলের কেউ না। তাই তাঁরা সেখানে কি করতে গিয়েছিল সে প্রশ্ন তুলছেন। যদিও অভিযোগ কারীদের বক্তব্য,  তাঁদের সেই সভায় আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল  পদাধিকার বলে। তাই তাঁরা সেখানে গিয়ে তাঁদের বক্তব্য  রাখতে চেয়েছিলেন। সে সপক্ষে মোবাইলে পাওয়া আমন্ত্রণ বার্তাও দেখান।  এই ঘটনার কটাক্ষ করেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌতম চৌধূরী।


যার ফলে হাওড়ায় হওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অশান্তির মেঘ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে হাওড়া জেলার রাজনৈতিক মহল এবং হাওড়া জেলা বিজেপির অন্দরে। ঠিক কি হয়েছিল ঘটনা? তা পরিস্কার নয়, কে দোষী আর কেইবা দোষী নয় তাও অপরিস্কার। 
{ads}

news politics TMC BJP Surajit Saha Arup Roy Umesh Rai Assembly Election West Bengal India Howrah রাজনীতি সংবাদ

Last Updated :