বর্তমানে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে গতকাল, রবিবার এই ভাষায়ই রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পাশাপশি তিনি সংযুক্ত করেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে তো আমরা আবেদন করে আনিনি। কোর্ট পাঠিয়েছে। রিপোর্টটা দেখলেন তো! অর্থাৎ বিরোধী দল হিসেবে এবার শাষক দলকে বাগে আনার এক শক্তিশালী অস্ত্র হাতে এসেছে তার। আর সেই অস্ত্র ব্যাবহারে তিনি শুরু করে দিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
একুশের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই রাজ্যে একাধিক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। আইন শৃঙ্খলা প্রায় ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়ে ওঠে। যে নির্বাচনোত্তর হিংসার কারনে কাঠগড়ায় ওঠে তৃণমূল পরিচালিত সরকার। বেশ কয়েক দফায় রাজ্যের হিংসাদীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখে রিপোর্ট দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। প্রশ্ন তুলেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতামন্ত্রীর নাম সহ কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকাও তৈরি করে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অনেক গুন্ডার নাম বাদ চলে গিয়েছে। অনেক দলদাস পুলিশের নাম বাদ চলে গিয়েছে। আগামীদিনে সব বলব।
{link}
কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, ভেবেছিলেন যা খুশি করব!দেশে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী আছেন। আপনারা একটা প্রদেশে আছেন। ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন। ডাললেকের ধারে এখন তেরঙ্গা পতাকা ঝুলে, সবুজ পতাকা দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান আইনের শাসনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আর রিপোর্টে এক নম্বর লাইনে লেখা, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসাকে কেন্দ্র করে ভোট মেটার পর থেকেই শুরু হয়েছে শাষক এবং বিরোধীপক্ষের লড়াই। বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই তা ধরা পড়ে। এখন কেন্দ্রীয় মানব অধিকার কমিশনের এই রিপোর্টের পরে সেই লড়াইয়ের ক্ষেত্রে এখন আরও একটু জোর পেয়ে গেল বিরোধী শিবির। কোনদিকে জল গড়ায় এখন তাই দেখার। বিজেপির লক্ষ্য হবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন গড়ে তোলাই বলে ধারনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।
{ads}