শুধুমাত্র বিরোধী শিবির নয়, অসন্তোষের আঁচ বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ন্যায় ফের চোখে পড়ছে শাসক শিবিরের পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাকে ঘিরেও। বিদ্রোহের গনগনে আগুন জ্বলছে তৃণমূলের অন্দরেও! কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য বলি হতে হয়েছে বিদায়ী কাউন্সিলর রতন মালাকারকে। টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তিনি। দলের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র পেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রতন। এই নিয়েই বেঁধেছে বিস্তর গোলযোগ।
{link}
১৯শে ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এই পুরসভার ১৪৪টি আসনেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইয়ের স্ত্রী কাজরি। তা নিয়েই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে দলের অন্দরে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে পরপর তিনবার জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন রতন। এবার আর তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তাই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তিনবারের কাউন্সিলর। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার।
{link}
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ ওঠে হামেশাই। এবার একই অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। এবার পুরভোটে তৃণমূল এমন কয়েকজনকে টিকিট দিয়েছে, যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ রয়েছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, স্বর্ণকমল সাহার ছেলে সন্দীপন সাহা, শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন, সোমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য্য এবং তারক সিংয়ের ছেলে অমিত ও মেয়ে কৃষ্ণা। সবার ওপরে তৃণমূল নেত্রীর ভ্রাতৃজায়া কাজরি তো রয়েইছেন। যার জেরে ক্ষোভের অন্ত নেই তৃণমূলের অন্দরে। একটা অংশের রাজনীতিবিদদের মতামত পরিবারকে দেখতে গিয়ে বহু যোগ্য প্রার্থী নিজেদের সিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার জেরে তাদের মধ্যে পুঞ্জীভূত হয়েছে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। তৃণমূল কংগ্রেসেও চোখে পড়ছে পরিবারতন্ত্রের ছায়া। যে ছায়া যে কোন রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডেকে এনেছে ভাঙন। এখন রাজ্যের শাসক শিবিরের ছবি কোন দিকে ঘোরে তাই দেখার বিষয়।
{ads}