তবে কি দল পরিবর্তন না করার কারনেই হারাতে হল প্রান? বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাননি। অভিযোগ, সেই কারণেই খুন করা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত পাত্রকে। আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে শালিকোঠা গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর এলাকায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিজেপির দাবি, খুন করা হয়েছে শ্রীকান্তকে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই পদ্ম-নেতাকে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।
{link}
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ঊনপঞ্চাশের শ্রীকান্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হন। তার পর আর ফেরেননি। রাত গাঢ় হলেও, বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে। এলাকায়ও খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। যদিও শ্রীকান্তের নাগাল মেলেনি। এদিন সকালে বাড়ির অদূরে একটি মাঠে দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই বিজেপি কর্মীর। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। কীভাবে ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
{link}
দিন কয়েক আগে বিজেপির হাতছাড়া হয় শালিকোঠা গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তার পর থেকে বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী শ্রীকান্তকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে জোর করে তৃণমূল যোগদান করানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। তার পরেও দল বদলে রাজি হননি শ্রীকান্ত। পরিবারের অনুমান, দলবদল করতে রাজি না হওয়ার খেসারত দিতে হয়েছে ওই বিজেপি কর্মীকে। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবং এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবারের তরফ থেকেও শাসক শিবির অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের বিপক্ষে সরাসরি কোন অভিযোগ করেননি মৃতের পরিবার। এই ক্ষেত্রেও কি তাদের একটি ভয় কাজ করছে? এই প্রশ্নের উত্তরেও হ্যাঁ বলছেন অনেকে। যদিও সমস্তটাই পরিস্কার হবে পুলিশি তদন্ত শেষ হওয়ার পর।
{ads}